বাবুল মিয়া ওরফে কালা বাবুল (৫৫) বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম ইলিয়াস মিয়ার খাসকামরায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মো. জাফর হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাবুল নিজে টাকা চুরিতে তার অংশগ্রহণ স্বীকার করেছে। সে আর কার কার নাম বলেছে তা বলা যাচ্ছে না।”
আগের দিন এই মামলায় বাবুলসহ চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন ঢাকার একজন মহানগর হাকিম। রিমান্ডের প্রথম দিনেই স্বীকারোক্তি দিলেন বাবুল।
তার সঙ্গে রিমান্ডে যাওয়া অপর তিন আসামি হল- হান্নান ওরফে রবিন (৫০), মোহাম্মদ মোস্তফা (৫২) ও মোছা. পারভীন ।
গত ১০ মে রাজধানীর পুরান ঢাকায় বিভিন্ন শাখা থেকে উত্তোলন করা ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার একটি বস্তা গাড়ি থেকে খোয়া যায়। দিনে দুপুরে ঘটে যাওয়া ওই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করে ন্যাশনাল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
গত সোমবার রাতে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার ও বিদেশি অস্ত্রসহ ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে এই মামলায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি আলমগীরকে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে এই মামলায় ব্যাংকের ওই গাড়ির দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন নির্বাহী কর্মকর্তা, গাড়িচালক ও দুজন নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করেছিল পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাদের একদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রাথমিক তদন্তে তথ্যপ্রযুক্তি, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগ জানতে পারে, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৮০ লাখ টাকার বস্তাটি গাড়ি থেকে খোয়া যায়নি, ওই টাকা চুরি করা হয়েছে। টাকা উত্তোলনের কোনো এক পর্যায়ে ওই টাকার বস্তাটি গাড়ি থেকে চুরি করা হয়।