হত্যার হুমকি: রন সিকদারের গাড়ি জব্দ, মামলা ডিবিতে

এক্সিম ব্যাংকের শীর্ষ দুই কর্মকর্তাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে গুলশান থানার মামলার অন্যতম আসামি সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদারের গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 June 2020, 01:02 PM
Updated : 3 June 2020, 01:19 PM

মঙ্গলবার তার বাসা থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয় বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার মামলাটির তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। পরদিন তার ‘ল্যান্ড রোভার’ গাড়িটি জব্দ করা হয়।

গাড়ি জব্দের কারণ চাইলে তিনি বলেন, সাধারণত রন হক সিকদার এই গাড়িতে চলাফেরা করেন। তার গাড়িতেই এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে তোলা হয়েছিল বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই তদন্তের জন্য এই গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এবিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা মামলার তদন্ত করছেন।

ঘটনার ১২ দিন পর ১৯ মে গুলশান থানায় এক্সিম ব্যাংকের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম সিকদার গ্রুপের মালিক জয়নুল হক সিকদারে ছেলে ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালক রন ও দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।

এজাহারে বলা হয়,রন হক সিকদার গত ৭ মে সকালে ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডিসহ গুলশানে এক্সিম ব্যাংকের কার্যালয়ে যান। সেখান থেকে ব্যাংকটির এমডি হায়দার আলী ও অতিরিক্ত এমডি ফিরোজকে তাদের প্রস্তাবিত ঋণের বিপরীতে বন্ধক হিসেবে রূপগঞ্জের কাঞ্চনে সিকদার গ্রুপের আদি নওয়াব আসকারী জুট মিল পরিদর্শনের জন্য নিয়ে যান।

জায়গাসহ সম্পত্তিটির বর্তমান বাজার দর সঙ্গে গ্রাহকের বন্ধকি মূল্যের অনেক কম হওয়ার কথা তুলে ধরে এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও অতিরিক্ত এমডি ঋণ দেওয়ায় আপত্তি করেন। 

এর জের ধরে ‘কৌশলে’ এক্সিম ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের পূর্বাচলে নিয়ে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণ’ এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সেখান থেকে বনানী ১১ নম্বরে সিকদার হাউজে নিয়ে ‘হেনস্তা করা হয়’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে এজাহারে।

তবে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে ন্যাশনাল ব্যাংকের আইনি পরামর্শক হিসেবে আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার ২৮ মে এক বিবৃতিতে বলেন, রন হক এক্সিম ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ পেতে কোনো আবেদন করেননি। তিনি এক্সিম ব্যাংকের গুলশান এভিনিউ শাখায় যাননি, এক্সিম ব্যাংকের এমডি ও এএমডির সঙ্গেও দেখা করেননি। শুধু তার মক্কেলকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য মামলাটি দায়ের করা হয়।

তবে মামলার পর গত ২৫ মে সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে দুই ভাই ব্যাংককে পাড়ি জমিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ হয়।