হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে আলাদাভাবে আগামী ১৪ জুনের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীর করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।
রিটকারী পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
আইনজীবী মুনতাসির পরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৭ মে রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে আগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় আলাদা চারটি প্রতিবেদন চেয়েছে হাই কোর্ট।
ইউনাইটেড হাসপতালর লাইসেন্স বাতিল, মৃত পাঁচজনের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং এ ঘটনা তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে গত ৩০ মে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নিয়াজ মুহাম্মদ মাহবুব ও শাহিদা সুলতানা শিলা।
এ ঘটনার বিচারিক তদন্ত চেয়ে সোমবার হাই কোর্টে আরেকটি রিট আবেদন করা হয়। সেখানেও মৃত রোগীদের পরিবারকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
গত ২৭ মে রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের প্রাঙ্গণে করোনাভাইরাসের রোগীদের জন্য স্থাপিত আইসোলেশন ইউনিটে আগুন লাগে।
আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও তার মধ্যেই পাঁচ রোগীর মৃত্যু হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।
নিহতরা হলেন মো. মাহবুব (৫০), মো. মনির হোসেন (৭৫), ভারনন এ্যান্থনী পল (৭৪), খোদেজা বেগম (৭০) ও রিয়াজ উল আলম (৪৫)।
ঘটনার পরদিনই ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ২৮ মে ওই তদন্ত দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন সেদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকার নামি ওই হাসপাতালের অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ‘নামমাত্র’।
অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ২৪ ঘণ্টা একজনের থাকার কথা থাকলেও দুর্ঘটনার সময় হাসপাতালে কেউ ছিলেন না। কে কি কাজ করবে, তাও নির্ধারণ করা ছিল না।
এছাড়া হাসপাতালে ১১টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র থাকলেও তার আটটিরই মেয়াদ এক মাস আগে শেষ হয়ে গিয়েছিল বলে তদন্ত দলের একজন সদস্য সেদিন জানান।