আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, দু’সপ্তাহের মধ্যে সর্বত্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর বিস্তার ঘটতে পারে। তাহলে পঞ্জিকার পাতা ধরেই এবার আষাঢ়ের শুরুতেই দেশজুড়ে বর্ষার রূপ দেখা যাবে।
এপ্রিল-মে মাস জুড়েই ছিল কালবৈশাখী ও বজ্রপাতের দাপট। মে মাসের শেষভাগে ছিল ঘূর্ণিঝড় আম্পান।
তারপর খরতাপের মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে কালবৈশাখী বয়ে যাচ্ছে।
সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মঙ্গলবারে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসের বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, এ মাসে ১-২টি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। মাসের প্রথমার্ধের মধ্যে সারাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) বিস্তার লাভ করতে পারে।
মৌসুমী ভারি বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।