কোভিড-১৯ সঙ্কটে লকডাউনের মধ্যে দুই মাসের বেশি সময় পর সোমবার কমিশনের প্রথম সভা শেষে এ তথ্য জানান ইসি সচিব মো. আলমগীর।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে এই সভায় স্থগিত ভোটসহ ছয়টি বিষয়ে আলোচনা হয়।
ইসি সচিব বলেন, “মহামারীর মধ্যে নির্বাচনের প্রশ্নই ওঠে না। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে; কোন নির্বাচন কবে হতে পারে, সে বিষয়টি আরও পর্যালোচনার জন্য ফাইল উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।”
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন এবং বগুড়া-১, যশোর-৬ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল মার্চে। তবে ভোটের নির্ধারিত তারিখের এক সপ্তাহ আগে তা স্থগিত করা হয়।
এর মধ্যে বগুড়া ও যাশোরের দুই আসনের উপ নির্বাচন এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার বাধ্যবাধতা ছিল। এদিনে সাংসদের মৃত্যুতে ঢাকা-৫ ও পাবনা-৪ আসনও ইতোমধ্যে শূন্য হয়েছে। আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে উপ নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তবে ‘দৈব-দূর্বিপাকের কারণে’ সাংবিধানিকভাবে পরবর্তী ৯০ দিন সময় রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে।
সে জন্য রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে সময় বাড়াতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে হবে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন সিইসি নুরুল হুদা।
সোমবারের সভার পর মো. আলমগীর বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভোটের চিন্তা কমিশনের নেই। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার সময় নিতে পারেন। এ বিষয়ে করণীয় নিয়ে আগামীতে কমিশন সিদ্ধান্ত দেবে।”