সন্ধ্যায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী নিজেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “তোমার ভাবী (শিরিন পারভিন হক) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তার অবস্থা খারাপ। জ্বরও আছে, কাশিও। এখন (রাতে) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাব।
“আমার ছেলেও করোনায় আক্রান্ত, বাসায় আইসোলেশনে আছে। ও তো ইয়াং ম্যান, অবস্থা অতোটা খারাপ নয়।”
নিজের প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত র্যাপিড কিটে নমুনা পরীক্ষায় দুইজনেরই করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছ জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, আরটি-পিসিআরে টেস্ট করাতেও নমুনা দেওয়া হবে।
গত ২৫ মে র্যাপিড কিটে নিজের নমুনা পরীক্ষায় পজিটিভ ফল আসার কথা জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে বিএসএমএমইউতে তার আরটি-পিসিআর টেস্টেও পজিটিভ আসে তার।
এর মধ্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্লাজমা থেরাপি নেন দুই দফা।
আক্রান্ত পর প্রথম তিনদিন বাসাতেই আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝে মাঝে তাকে অক্সিজেন নিতে হয়। তাছাড়া কিডনি জটিলতার কারণে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করাতে হয় তাকে। এসব কারণে পরে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি হন।
এখন কেমন আছেন জানতে চাইলে জাফরুল্লাহ বলেন, “আমি এখন ভালো আছি। জ্বর নেই, কাশি একটু-আধটু আছে। আমাকে কন্সটেন্টলি অক্সিজেন দিতে হয় সেজন্য আমি নগর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।”
“তোমার ভাবীকে এই হাসপাতালে আজই ভর্তি করাব। সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
দেশবাসীর কাছে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া চেয়েছেন চান ৭৯ বয়সী এই মুক্তিযোদ্ধা।