ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকাল পৌনে ১০টায় এই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিলো ৮৬ বছর।
তার প্রতিষ্ঠিত ইগলু আইসক্রিমের সিনিয়র ব্রান্ড ম্যানেজার সুমিত চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ১৭ মে বাসায় ‘স্ট্রোক’ করলে আব্দুল মোনেমকে প্রথমে স্কয়ার হাসপাতালে এবং পরে সিএমএইচের ভর্তি করা হয়।
আবদুল মোনেম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে যে গুঞ্জন রয়েছে, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ইগলু আইসক্রিম, ডেইরি ও ফুডের গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জি এম কামরুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হননি। উনার মরদেহ দাফনের জন্য ইতোমধ্যে গ্রামের বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে আছেন। সন্ধ্যায় দাফন করা হবে। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে যেভাবে দাফন করা হয় সেভাবেই দাফন করা হবে।
“করোনাভাইরাসে মারা গেলে তো মরদেহ পরিবারের কাছেই হস্তান্তর করা হত না। সরকারই সব ব্যবস্থা করত।”
আব্দুল মোনেম লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোনেম দুই ছেলে এএসএম মাইনুদ্দিন মোনেম ও এএসএম মহিউদ্দিন মোনেমকে রেখে গেছেন।
ছোট থেকে শুরু হলেও নির্মাণ খাতের ব্যবসার সাফল্য মোনেম গ্রুপকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। মোনেমের নিজের নামে গড়া এএমএল কন্সট্রাকশনস লিমিটেড দেশের অন্যতম শীর্ষ কন্সট্রাকশনস ফার্ম।
সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভারসহ দেশের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ কাজে যুক্ত এএমএল কন্সট্রাকশনস পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পেও বিভিন্ন কাজে জড়িত।
মোনেম গ্রুপের অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইগলু আইসক্রিম, ম্যাংগো পাল্প প্রোসেসিং, ইগলু ফুডস, ড্যানিস বাংলা ইমালসন, ইগলু ডেইরি প্রোডাক্টস, সুগার রিফাইনারি, এম এনার্জি লিমিটেড, নোভাস ফার্মাসিউটিক্যালস, এএম আসফল্ট এ্যান্ড রেডিমিক্স লিমিটেড, এএম অটো ব্রিকস, এএম ব্র্যান অয়েল কোম্পানি, সিকিউরিটিজ ও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড এবং এএম বেভারেজ।
এ গ্রুপের মালিকানাধীন আব্দুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল যাত্রা শুরু করে ২০১৫ সালে। এএম বেভারেজ ইউনিটের অধীনে কোকাকোলা ব্রান্ডের কোকাকোলা, ফান্টা ও স্প্রাইট বোতলজাত করে আসছে আব্দুল মোনেম লিমিটেড।
১৯৮৪ থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ছিলেন মোনেম। তার সময়ে ফুটবল লিগে ১৯৮৬, ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালে হ্যাটট্রিক শিরোপা জেতে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।