আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সদস্যকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে পালনের পাশাপাশি কোভিড-১৯ সংক্রমণরোধে পারিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 May 2020, 04:22 PM
Updated : 30 May 2020, 04:22 PM

শনিবার মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা শাখা থেকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, “স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য সর্বাবস্থায় মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ১৩টি দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে এবং পৃথকভাবে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের আবাসিক স্থাপনায় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি পালনের লক্ষ্যে এক সদস্য থেকে অন্য সদস্য যাতে কমপক্ষে ৪ থেকে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখে, সাবান-পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত-ধোয়া প্রয়োজনবোধে ৭০ শতাংশ অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার  ব্যবহার করা. মাস্ক পরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ হতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।”

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ অনুসারে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকার কর্তৃক জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য প্রতিপালন/অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনা অনুসরণ বা প্রতিপালন না করা উক্ত আইনের অধীনে দণ্ডনীয় অপরাধ।

জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণীয়।

“তাই জননিরাপত্তা বিভাগের আওতাধীন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত কোভিড-১৯ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ কঠোরভাবে প্রতিপালন করা এবং সংক্রমক রোগ প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”

নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সবাইকে বাসায় থাকার অনুরোধ জানিয়েছিল। ছুটি আর না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে শর্ত সাপেক্ষে অফিসসহ বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চালু করার অুনমতি দিয়েছে সরকার।

সাধারণ ছুটিতে দায়িত্ব পালন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং কয়েকজন মারাও গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে পুলিশ বাহিনীতে।

শনিবার পর্যন্ত পুলিশের ৪ হাজার ৭০৩ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন, সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৬০৬ জন; মারা গেছেন ১৫ জন।

এদিকে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে শনিবার এক ভিডিও বার্তায় এআইজি মো. সোহেল রানা বলেন, “করোনাকালে সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক এবং ক্রাইম ম্যানেজম্যান্ট কিছুটা ভিন্ন ছিল। এখন বাস্তবতায় বিবেচনায় করোনার সাথে আরও কিছুদিন বা অনেকদিন… সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণপরিবহন সীমিত আকারে চালু করার এবং নতুন করে ছুটিও বাড়ানো হয়নি।”

তিনি বলেন, “এর ফলে জনগণের চলাচল বেড়ে যাবে, আরও বেশি হারে গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে। এই বাস্তবতায় অবশ্যই বাংলাদেশ পুলিশকে নতুন করে ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট ও ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট আরও বেগবান করতে হবে।

“আমরা নতুন করে ঢেলে সাজাব এবং একই সাথে আমাদের করোনা ম্যানেজমেন্ট, করোনা বিস্তার নিয়ন্ত্রণের যে কার্যক্রম শুরু থেকে করছিলাম, সেটিও চলামান রাখা হবে।”