ঢাবিতে ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে দাপ্তরিক কাজ

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে রোববার (৩১ মে) থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2020, 03:18 PM
Updated : 29 May 2020, 03:18 PM

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব নীতিমালা ও কিছু শর্ত অনুসরণ করে অতি প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক কার্যাবলি সম্পাদন, শিক্ষকদের গবেষণা কাজে সহায়তা প্রদান এবং ভবনাদি, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বা স্থাপনাদি রক্ষণাবেক্ষণের স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শুধুমাত্র অফিসসমূহ সীমিত পরিসরে ৩১ মে হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত খোলা থাকবে।”

এই সময়ে অন্যান্য জরুরি কাজের মধ্যে ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল চূড়ান্ত ও প্রকাশের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া আবাসিক হলগুলোর পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে ও নিজস্ব স্থাপনা, গ্রন্থাগার, ভবনের রক্ষণাবেক্ষণে সংশ্লিষ্টদের সহায়তা দিতে হল অফিস সীমিত পরিসরে খোলা রাখার কথাও বলা হয়েছে। তবে হলে শিক্ষার্থীদের প্রবেশসহ ক্যাম্পাসে চলাচলে বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যূনতম সংখ্যক অত্যাবশ্যক জনবল নিয়ে অফিসসমূহ খোলা থাকবে, যাতে এই সময়ে এর আগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাসমূহের ফলাফল চূড়ান্ত করা যায়।

“এছাড়া এই সময়ে হলগুলোসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনা যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, সেজন্য অতি সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকবে । এক্ষেত্রে আমরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণসহ কিছু শর্ত পালনের মাধ্যমে এসব কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছি।”

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার পর গত ১৮ মার্চ থেকে ছুটি ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছুটির মেয়াদ কয়েক দফা বাড়িয়ে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু দেশে মহামারীর পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে থাকলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক ও বিভিন্ন জরুরি সেবামূলক কাজে সীমিত সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যদের বাসা থেকে কাজ করতে বলা হয়।

তবে যেকোনো বিশেষ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে দায়িত্ব পালন করার কথাও বলা হয়েছিল।