স্থানীয় সরকার বিভাগ নবীনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বৃহস্পতিবার আদেশ জারি করেছে।
এ নিয়ে ত্রাণ বিতরণে অনিয়মসহ সরকারি চাল আত্মসাৎ এবং অন্যান্য অনিয়মের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ২৩ জন চেয়ারম্যান, ৪৫ জন সদস্য, একজন জেলা পরিষদ সদস্য, দুইজন পৌর কাউন্সিলর এবং একজন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যানসহ মোট ৭২ জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।
আদেশে বলা হয়েছে, নবীন করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সরকারি ত্রাণ কার্য পরিচালনায় ‘অবৈধভাবে’ হস্তক্ষেপ করেন।
“তালিকা বহির্ভূতভাবে তার ইচ্ছামতো সরকারি জরুরি ত্রাণ না দেওয়ায় নবীন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) মারধর, লাঞ্ছিত ও হেনস্থা করেন, প্রাণনাশের হুমকি দেন, এবং সরকারি কর্তব্যপালনে অযাচিত হস্তক্ষেপ করেন।”
তিনি এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ব্রিজের টেন্ডার কাজে বাধা দেন এবং শিডিউল বিক্রি না করার জন্য হুমকি দেওয়াসহ ভূমিহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় ঘর নির্মাণে অবৈধ হস্তক্ষেপ এবং পিআইওর কাছে চাঁদা দাবি করেন বলেও জানানো হয় আদেশে।
এছাড়া করোনাভাইরাসের মহামারিতে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা হিসেবে কর্মহীনদের মাঝে আর্থিক সহায়তা দিতে তালিকা তৈরির ক্ষেত্রেও এই জনপ্রতিনিধি ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
তার এসব কর্মকাণ্ডে উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের মধ্যে ‘হতাশা ও ক্ষোভের’ সৃষ্টি হতে পারে মন্তব্য করে আদেশে বলা হয়েছে, সেরকম হলে সার্বিকভাবে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে অচলাবস্থার সৃষ্টি হতে পারে এবং অন্যান্য উপজেলায় ‘বিরূপ প্রভাব’ পড়তে পারে বলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল।