প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম শুক্রবার জানান, প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস এবং তার স্ত্রী ডাচেস অব কর্নওয়াল ক্যামিলার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ব্রিটিশ যুবরাজ বলছেন, যারা হতাহত হয়েছেন, ঝড়ে যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য তার এবং ক্যামিলিয়ার ‘হৃদয় ভেঙে গেছে’।
“আমরা বুঝতে পারি, এটা জনগণের কাছে কতটা ভয়ানক ছিল, কারণ ওই সময় তারা একটি আনন্দঘন ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।”
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান গত ২০ মে দুপুরের পর সুন্দরবনের কাছ দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করে। পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালিয়ে আম্পান ওই রাতেই পুরোপুরি বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এ দুর্যোগে মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় ঝড়ে গাছ বা ঘর চাপা পড়ে অন্তত ২৩ জনের প্রাণ যায়। প্রবল বাতাসে বহু গাছপালা ভেঙে পড়ে, ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন দেশের অর্ধেকের বেশি গ্রাহক। উপকূলের বিভিন্ন এলাকার বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু মানুষ।
চার্লস বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী এবং একইসঙ্গে ভয়াবহ ঝড়ের ক্ষতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষকে।
নিদারুণ উদ্বেগের এই সময়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তিনি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন এবং প্রার্থনা করেছেন, যেন তারা সামলে উঠতে পারেন।