৭৯ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ এখন ধানমণ্ডিতে তার বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আইসোলেশনের দিনলিপি নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইসোলেশন মানেই একাকিত্বের জীবন। এখন কীভাবে আমার দিন যায় রাতে আসে জান? মিতালি করে। বইয়ের সাথে মিতালি, টেলিভিশনের সাথে মিতালি, মোবাইলের সাথে মিতালি।
গত সোমবার বিকালে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জ্বর অনুভব করার পরপরই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট দিয়ে তার রক্ত পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর দ্রুতই আইসোলেশনে চলে যান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের মানুষ যেমন ঘরবন্দি, আমি রুমবন্দি। এখন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষজন প্রতিদিন টেলিফোন করে আমার খোঁজ-খবর নিচ্ছে। অনেকের টেলিফোনের কথাবার্তা খুবই ইন্টারেস্টিং। যেমন একজন টেলিফোন করে বলেছে যে, সে নামাজ-টামাজ পড়ে না, আমার জন্য সে নামাজ পড়ছে। সে বলল, স্যার আমি অনেক দিন নামাজ পড়ি না। আপনার অসুখের কথা শুনে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া চাইতে নামাজ পড়ছি। আমি এটা শুনে অবিভূত হয়েছি।
“আরেকটা টেলিফোনের কথা বলি। একজন ইউএনও টেলিফোন করে বলল যে, সে ও তার ওয়াইফ আমার জন্য নফল নামাজ পড়ে দোয়া করেছে। তার কথা শুনে মনটা উজ্জীবিত হয়েছিল যে, মানুষের এত ভালোবাসা আমার প্রতি রয়েছে! আমি কৃতজ্ঞ।”
মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ বলেন, “যখন মুক্তিযোদ্ধারা টেলিফোন করে আমার খবর নেন তখন মনটা ভরে ওঠে। কর্নেল সাজ্জাদ টেলিফোন করেছিল…।”
খাবার-দাবার সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করছি। ফলমূল যেমন লিচু, আপেল, মাল্টা ইত্যাদি ফলমূল খাচ্ছি বেশি।
“সব সময় গরম পানি খাচ্ছি। কারণ করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের গরম পানি খাওয়াটা জরুরি।”