তবে বুধবার পিসিআর টেস্টের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বিএসএমএমইউ) নমুনা দিয়েছিলেন প্রবীণ এই চিকিৎসক।
ওই নমুনা পরীক্ষার ফল বৃহস্পতিবার এসেছে, তাতেও একই ফল এসেছে।
৭৯ বছর বয়সী জাফরুল্লাহ এখন ধানমণ্ডিতে তার বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গণস্বাস্থ্যের ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ নামের র্যাপিড টেস্টিং কিট এখনও সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পায়নি।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেবল রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার পরীক্ষার অনুমতি রয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।
গণস্বাস্থ্যের কিট নিয়ে তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রেষারেষি চলার মধ্যে গত সোমবার জাফরুল্লাহ জানান, তাদের কিটে পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে।
আরটি-পিসিআর টেস্ট করাবেন না বলেও মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছিলেন তিনি।
তিনি বলেছিলেন, “পিসিআর টেস্ট কেন করব? আমি তো র্যাপিড কিট দিয়ে টেস্ট করে দেখেছি। আবার কেন? এটা (পিসিআর) অপ্রয়োজনীয়।”
তবে এর পরদিন আরটিপিসিআর টেস্টের জন্য নমুনা দেন জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, বিএসএমএমইউর কর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।
জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উদ্দীন মুন্সী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অনেক নমুনাই তারা পরীক্ষা করছেন, নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির তথ্য তার জানা নেই।
“আমাদের এখানে তো শুধু স্যাম্পল আসে। এখন কে স্যাম্পল দিল, সেটা তো জানা যায় না।”
অধ্যাপক সাইফ উদ্দীন মুন্সী বিএসএমএমইউর আরটিপিসিআর ল্যাব নমুনা পরীক্ষার পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করছেন।
এদিকে জাফরুল্লাহ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকালে ধানমণ্ডিতে নিজের বাসায় প্লাজমা থেরাপিও নিয়েছেন তিনি।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দেওয়া প্লাজমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন জানান।
তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তাদের কাছ থেকে জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে কোনো প্লাজমা দেওয়া হয়নি।
অধ্যাপক এম এ খান প্লাজমা থেরাপির জন্য গঠিত কারিগরি কমিটির প্রধান।
তিনি বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমার জানামতে আমাদের এখান থেকে তিনি প্লাজমা নেননি। কোত্থেকে নিয়েছেন তাও বলতে পারব না।”
কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের দেহ থেকে রক্তরস বা প্লাজমা নিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বাংলাদেশেও সম্প্রতি শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এন্টিবডি তৈরি হয়ে তা সেরে ওঠায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।