লঞ্চে অর্ধেকের কম যাত্রী তোলার ভাবনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেকের চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালানোর কথা ভাবছে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2020, 11:29 AM
Updated : 29 May 2020, 02:26 PM

বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

দুই মাস ধরা চলা সাধারণ ছুটি আর না বাড়িয়ে ৩১ মে থেকে অফিস খোলার পাশাপাশি বাস, ট্রেন, লঞ্চ চালানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার

৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত গণপরিবহণগুলো কীভাবে চলবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে জানানো হয়েছে।

ওই সময়ে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ বলেন, “৩১ তারিখ থেকেই সীমিত আকারে গণপরিবহন চলাচল শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায় সত্য, তবে ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এই পরিস্থিতি এভাবে থামিয়ে রাখা যায় না। আমাদের যেমন স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করতে হবে, তেমনি অর্থনীতির কথাও চিন্তা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা গণপরিবহন চালুর ব্যবস্থা করব। লঞ্চ শ্রমিক-মালিক এর সঙ্গে বিআইডব্লিওটিএর আলোচনা হবে কিভাবে স্বাস্থ্যবিধির আওতায় আনা যায়। ৫০০ জন যাত্রী একটি লঞ্চে আসে, সেই ক্ষেত্রে আমরা ২০০ জন যাত্রী আনা নেওয়া করব।

“সেক্ষেত্রে পরিবহন খরচটা উঠে আসবে কিনা, সেটাও একটা বিষয়। আমরা মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আমাদের পরিবহন চালু করতে হবে।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিভাবে লঞ্চ চালু করা যায় এটা নিয়ে আমরা গত ২০ মার্চ লঞ্চ শ্রমিক-মালিক ও বিআইডব্লিউটিএ একটি বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকের আলোকেই আবার আলোচনা সাপেক্ষে লঞ্চ চালু করব।

স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কিছু পদক্ষেপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “মার্চের আট তারিখ থেকে লিফলেট বিতরণ করেছিলাম এবং বিভিন্ন নদীবন্দরগুলোতে আমরা থার্মাল (স্ক্যানার) দিয়ে প্রাথমিকভাবে (যাত্রীদের শরীরের) তাপমাত্রা পরিমাপ করা শুরু করেছিলাম। প্রথম থেকেই যাত্রীদের সচেতন করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রত্যেকটি নদীবন্দরে আমরা মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করার পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, যার আলোকে সদরঘাট বরিশাল ও চাঁদপুরে চালু হয়েছিল।

“আমরা চাই আমাদের শ্রমিক ও যাত্রীরা যেন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে। সেই চিন্তা করেই কিভাবে এটা সমন্বয় করা যায় স্বাস্থ্যসম্মতভাবে, পরিবহন খরচ কিভাবে মেটানো যায়, সে ব্যাপারে আমরা আলোচনার ভিত্তিতে যাত্রী পরিবহন শুরু করব।”