ঝড়ের পরে বিদ্যুতের লুকোচুরি

করোনাভাইরাস সঙ্কটের এই সময়ে কালবৈশাখী ঝড়ের পর ঢাকায় ঘরবন্দি মানুষকে বিদ্যুৎ নিয়ে নাকাল হতে হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2020, 02:36 PM
Updated : 27 May 2020, 02:36 PM

বুধবার ভোররাতে ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিল। দুপুরের পর সরবরাহ স্থিতিশীল হয় বলে ঢাকার একাধিক স্থানের বাসিন্দা ও বিতরণ সংস্থার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

জ্যৈষ্ঠ মাসের মাঝামাঝি এসে ভোররাতে রাজধানীতে বয়ে যায় তীব্র কালবৈশাখী, যার বাতাসের গতি ছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৩ কিলোমিটার।

ঝড়ে ঢাকায় অন্তত ১০টি স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। সকালেও পানি জমে থাকতে দেখা গেছে বিভিন্ন সড়কে। তবে ঢাকায় কোথাও প্রাণহানি ঘটেনি।

ঝড়ের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক মিনিটের জন্য বিদ্যুৎ ছিল না রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায়। পরে বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে সরবরাহ লাইন এবং সার্ভিস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা মেরামতে বিভিন্ন এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল।

হাজারীবাগের বাসিন্দা শামীম আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার এলাকায় ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কমপক্ষে ৬ বার গেছে। তবে প্রতিবারই ৫/৬ মিনিটের মধ্যে ফিরে এসেছিল।

মধ্যবাড্ডা ডিআইটি আবাসিক প্রকল্পের বাসিন্দা জয়ন্ত কুমার সাহা অভিযোগ করেন, ঝড় থেমে যাওয়ার পর দুপুর পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ গেছে তার এলাকায়। মাঝে ‘লো ভোল্টেজের’ সমস্যাও ছিল।

বনশ্রী এলাকায় ভোরে ঝড়ের পর একবার, সকাল ১১টার দিকে একবার, ১২টার দিকে আরও একবার বিদ্যুৎ চলে যায় বলে জানান ওই এলাকার বাসিন্দা হুসাইন আহমেদ।

তবে ঢাকার দুই বিতরণ সংস্থা ডিপিডিসি ও ডেসকোর কর্মকর্তারা বলছেন, রাতের ঝড়ের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিছু এলাকায় গাছ পড়ে যেসব তার ছিঁড়ে গিয়েছিল, তা মেরামতেই কিছুক্ষণের জন্য বিদ্যুতের এই আসা-যাওয়া।

ডিপিডিসির পরিচালক এটিএম হারুন উর রশিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঝড়ে বড় কোনো ক্ষতি হয়নি। দীর্ঘ সময়ের জন্য কোথাও লোডশেডিংও দিতে হয়নি।

“কিছু কিছু স্থানে গাছ গাছালি পড়ে সরবরাহ লাইনের যে ক্ষতি হয়েছিল তা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মেরামত করা গেছে। এছাড়া কিছু সার্ভিস লাইনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি এলাকার সার্ভিস লাইন মেরামত করতে গেলেও সেই এলাকার বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়েছে।”

আরেক বিতরণ সংস্থা ডেসকোর পরিচালক নুর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভোরে ঝড় শুরু হওয়ার পর কয়েক মিনিটের জন্য গ্রিড লাইনে সরবরাহ বন্ধ ছিল। এসময় রাজধানীর বড় এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ ছিল না। এছাড়া ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তেমন একটা ক্ষতি হয়নি।”

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান, কারওয়ানবাজার, মগবাজার, গুলশান, রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনার সামনে, গণভবনের ভেতরে, ধানমণ্ডি, রমনা এলাকা, হেয়ার রোডসহ বেশ কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে ঝড়ে।