সোমবার রাতে টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের তৈরি করা কিট দিয়ে পরীক্ষা করে তিনি সংক্রমণের বিষয়ে ‘নিশ্চিত’ হয়েছেন।
“গতকাল রাত থেকে জ্বর জ্বর ছিল, আমাদের কিট দিয়ে অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করে পজিটিভ এসেছে।”
‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লট কিট’ নামের ওই র্যাপিড টেস্টিং কিট এখনও সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পায়নি। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কেবল রিভার্স ট্রান্সক্রিপশন পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (আরটি-পিসিআর) পদ্ধতিতেই করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার পরীক্ষার অনুমতি রয়েছে, যা বিশ্বে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলে আসছে, এ ধরনের কিটে পরীক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ফলস পজেটিভ কিংবা ফলস নেগেটিভ রেজাল্ট আসে। মহামারীর এই সময়ে এরকম ভুল ফলাফল মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবেদনে সম্প্রতি তাদের উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখার অনুমতি দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
৭৯ বছর ব্য়সী জাফরুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরীক্ষায় ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসার পর থেকে তিনি ধানমণ্ডির বাসায় পুরোপুরি আইসোলেশনে আছেন।
“করোনা আক্রান্ত হওয়ায় আজকে ঈদে আমি কারো সাথে দেখা সাক্ষাত করিনি। সবাইকে ঈদ মোবারক জানাচ্ছি। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।”