সেলক্ষ্যে আগামী ৩০ মের মধ্যে সব নির্বাহী প্রকৌশলীদের স্ব স্ব অধিক্ষেত্র সরেজমিন পরিদর্শন করে চুড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।
রোববার পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সভায় সভাপতিত্বকালে এই সিদ্ধান্ত তিনি দেন বলে এক তথ্য বিবরণিতে বলা হয়েছে।
রাজধানীর গ্রিন রোডে যৌথনদী কমিশনের সভাকক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, উপকূল অঞ্চলে ব্যাপকভাবে শস্যহানি হয়নি, তবে প্রায় এক লক্ষ লোক পানিবন্দি। যার মূল কারণ পানি নিষ্কাশন অব্যবস্থাপনা ও পুরনো বাঁধ।
খুলনার কয়রা, দাকোপ এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার আনুমানিক ১৭০ জায়গায় প্রায় ৯৯টি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা পরিদর্শন করেন পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার। পরিদর্শনকালে স্থানীয় প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন এবং মোতায়েনকৃত সেনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি মতবিনিময় করেন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, অতিরিক্ত সচিব মাহমুদুল ইসলামসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৭ মে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর এলাকা সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।