মঙ্গলবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী যুগ্ম সচিব মো. খায়রুল আলম শেখ স্বাক্ষরিত এই চিঠি দেওয়া হয়।
এই চিঠিতে কোভিড-১৯ মহামারীকালে তামাক নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পরস্পরবিরোধী অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট।
চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে চলমান অবরুদ্ধ অবস্থায় তামাক কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় বিশেষ অনুমতি দেওয়ায় ‘পরিস্থিতি জটিল হয়েছে’।
তাই কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের দেওয়া অনুমতিপত্র প্রত্যাহার করতে আহ্বান জানিয়েছে তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল।
এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ ‘ভয়াবহ আকার’ ধারণ করেছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা খায়রুল লিখেছেন, “স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ক্রমবর্ধমান কোডিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
“এ পরিস্থিতিতে দেশের তামাক কোম্পানিগুলোকে উৎপাদন, সরবরাহ ও বিপণন করার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় বিশেষ অনুমতি দেওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়েছে।”
লকডাউনেওে তামাক কোম্পানিগুলো শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত নির্দেশনার ‘অজুহাতে এ আইন লঙ্ঘন করে চলেছে’ বলে চিঠিকে অভিযোগ করা হয়।
২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার উল্লেখ করে শিল্প মন্ত্রণালয়কে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় তামাক কোম্পানিকে
প্রদত্ত অনুমতি প্রত্যাহারসহ সকল তামাক কোম্পানির উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও তামাকপাতা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”