সোমবার সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্রতিষ্ঠান ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে তার এ আহ্বান আসে।
মুশফিক বলেন, “নিউজে যেভাবে দেখছি মানুষ শপিংয়ের জন্য বের হয়েছে, এটা খুবই অ্যালার্মিং। একটা ঈদে নতুন একটা জামা না পরে ওই টাকাটা কাউকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে ব্যয় করতে পারেন এটা অনেক বড় কাজ হবে।”
মুশফিক জানান, গত ৩০-৩২ বছরে সব সময় তিনি ঈদ করেছেন বগুড়ায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে। এবারই প্রথম তিনি ঢাকায় একা ঈদ করবেন। সবাইকে তিনি সেই পরামর্শই দিচ্ছেন।
“এখান থেকে কোথাও যাওয়ার ঝুঁকি আছে। যাবেন আবার ফেরত আসবেন। দেখা যাবে আপনি উপসর্গ নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন ওখানে আত্মীয়-স্বজন আক্রান্ত হতে পারে। এই জিনিসগুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।”
ভয় না পেয়ে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে এই ক্রিকেটার বলেন, “সরকার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এত হেল্প করছে, লাইফ স্যাক্রিফাইস করছেন, তাদের সম্মান জানাতে অবশ্যই আমাদের বাসায় থাকতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। সবাইকে মানতে হবে।”
নিজেও ঘরবন্দি আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “সবাই করোনাভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করছে। আমরা মাঠের মানুষ, গত দুই মাস ধরে ঘরে থাকতে হচ্ছে। সবার আগের নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবক, কর্মী যারাই আমরা আছি সবার আগের নিজের সেফটি নিশ্চিত করতে হবে।”
অন্যদের মধ্যে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খান, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনালের (জেসিআই) প্রেসিডেন্ট সারাহ কামাল, ব্রাকের নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ কার্যক্রমের পরিচালক নবনীতা চৌধুরী, জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভী রাসখান্দসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে জয়বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী কয়েকজন উদ্যোক্তা ‘কোভিড-১৯ মোকাবেলায় তরুণরা’ শিরোনামের এ ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেন।