প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বুধবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এজন্য সরকার ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবারে চারজন সদস্য ধরে এই নগদ সহায়তার সুবিধা পাবে প্রায় দুই কোটি মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে জানান খোকন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, ‘ঈদ উপহার’ হিসেবে এই নগদ সহায়তা দিতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষক এবং সমাজের ‘গণ্যমান্য ব্যক্তিদের’ সমন্বয়ে গঠিত কমিটি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করেছে।
রিকশাচালক, ভ্যানচালক, দিনমজুর, নির্মাণ শ্রমিক, কৃষি শ্রমিক, দোকান কর্মচারী, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসায় কর্মরত শ্রমিক, পোল্ট্রি খামারের শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক ও হকারসহ নিম্ন আয়ের নানা পেশার মানুষের নাম এসেছে এই তালিকায়।
আশরাফুল আলম খোকন বলেন, “তালিকাভুক্তদের কাছে নগদ, বিকাশ, রকেট ও শিওরক্যাশের মাধ্যমে সরাসরি চলে যাবে এই টাকা, ফলে বাড়তি কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না তাদের। টাকা পাঠানোর খরচও সরকার বহন করবে। ওই টাকা ক্যাশআউট করতে সুবিধাভোগীদের কোনো খরচ দিতে হবে না।”
এই ৫০ লাখ পরিবারের বাইরে আরও ৫০ লাখ পরিবারের প্রায় ২ কোটি সদস্য আগে থেকেই ভিজিএফ এর আওতায় রয়েছে।
এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শিক্ষা ভাতা ও প্রতিবন্ধী ভাতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়।