‘র্যাপিড ডট ব্লট’ নামে এই কিটের নমুনা চেয়ে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার চিঠি দিয়েছে বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা খুশি, বিলম্বে হলেও বিএসএমএমইউর কাছ থেকে আজকে চিঠি পেয়েছি। আমরা আগামীকাল সকালেই পরীক্ষার জন্য অর্থ জমা দিয়ে নমুনা তাদের কাছে দেব।”
চিঠিতে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য ২০০টি নমুনা ও খরচ বাবদ চার লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।
৩০ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গণস্বাস্থ্যকে তাদের উদ্ভাবিত কিটের নমুনার কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউ অথবা আইসিডিডিআরবিতে জমা দেওয়ার অনুমতি দেয়।
নানা জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যে ১২ দিনেও কোনো জবাব না আসায় সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কিট ব্যবহারের সাময়িক অনুমোদন চেয়েছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে বাংলাদেশ আমদানি করা কিটের উপর নির্ভর করছে। এর মধ্যেই দেশীয় প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের প্রধান বিজ্ঞানী ও গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিজন কুমার শীল কোভিড-১৯ শনাক্তে কিট উদ্ভাবনের কথা জানান গত মাসের প্রথমার্ধেই।
১৯ মার্চ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে করোনাভাইরাসের কিট উৎপাদনের অনুমতি পায়। চীন থেকে কাঁচামাল (রি-এজেন্ট) নিয়ে কিটের নমুনা তৈরি করেছেন তারা।
বিজ্ঞানী বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে এই কাজে যুক্ত আছেন- ড. ফিরোজ আহমেদ, ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাইদ জমিরুদ্দিন ও ড. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার।
‘র্যাপিড ডট ব্লট’ নামের এই পদ্ধতিতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।