পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডলফিন রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 12 May 2020, 02:29 PM
সেই সঙ্গে ডলফিন রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে ইমেইলের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম সচল করতে অধ্যাদেশ জারি করে দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর পর উচ্চ আদালত থেকে আসা এটাই প্রথম আদেশ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আর একটি ডলফিনও যেন কেউ হত্যা না করতে পারে সেজন্য সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
“এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমেইলে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৯ মে বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আসবে। অবকাশ শেষে উন্মুক্ত আদালতে এ রিটের শুনানি হবে।”
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা শুনানির শেষ দিকে ভার্চুয়াল কোর্টে যুক্ত হয়েছিলেন বলে জানান অমিত তালুকদার।
পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষায় চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার ভার্চুয়াল কোর্টে এই রিট আবেদন করা হয়।
আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন বলেন, ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর পর হাই কোর্টে এটাই প্রথম রিট এবং প্রথম আদেশ।
ই-মেইলের মাধ্যমে নির্ধারিত নিয়মে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি জমা দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কাইয়ুম।
গত ৮ মে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর হালদা নদীতে ভাসমান অবস্থায় একটি মৃত ডলফিন পাওয়া যায়, যেটিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল।
ওই ঘটনার পর ৮ ও ১০ মে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের অনলাইন সংস্করণে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যা যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেন কাইয়ুম।
হালদা নদীতে ডলফিন হত্যা রোধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হবে না এবং ডলফিন হত্যা রোধে কেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে না তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছিল রিটে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ও চট্টগ্রামের রাউজানের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে রিটে বিবাদী করা হয়।