এসব বুথে সম্ভাব্য সংক্রমিত রোগীর শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পাঠানো হবে। একটা নমুনা সংগ্রহ করতে পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় লাগবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে এই কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন করছে ডিএফআইডি।
ব্র্যাকের পুষ্টি ও জনস্বাস্থ্য কর্মসূচীর সহযোগী পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে ১০০ বুথ তৈরি করা হবে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বেশি সংক্রমিত ১৯টি এলাকায়। এর মধ্যে ৪৫টি বুথ স্থাপন করা হচ্ছে ঢাকায়। ঢাকার দুই মেয়রের অনুমতি নেওয়ার পর স্থান নির্বাচন করা হচ্ছে।”
মোর্শেদা চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল এবং নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি বুথ বসানো করা হয়েছে।
“ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহের মতো জায়গা আমরা চিহ্নিত করেছি, যেখানে বেশি সংক্রমণ পাওয়া গেছে। পরে আস্তে আস্তে বুথের সংখ্যা, এলাকাও বাড়বে। এটা নির্ভর করবে রোগের প্রাদুর্ভাবের ওপর।”
তিনি বলেন, নমুনা সংগ্রহের এসব বুথ স্থাপন করা হবে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে। এছাড়া স্থানীয় পর্যায়েও কিছু বুথ বসানো হবে।
“এখন মানুষ গিয়ে ফেরত আসছে। তাদের যেন ফেরত আসতে না হয়। হাসপাতালের ওপর যেন চাপটা কমে যায়। কিছু হবে এলাকাভিত্তিক।”
মোর্শেদা চৌধুরী জানান, নমুনা সংগ্রহ করতে হলে প্রশিক্ষিত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট প্রয়োজন। এজন্য তারা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বাছাই করে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তবে যান চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকার বাইরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বাছাই ও নিয়োগ দেওয়ায় কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।
“এখন তো ঢাকার বাইরে যোগাযোগ বন্ধ তারা অনেকে আসতে পারছে না। ঢাকায় এনে ইন্টারভিউ করাটাও মুশকিল হয়ে গেছে। সোশ্যাল ডিস্টেন্সিংয়ের ব্যাপার আছে। এখন যতজনকে পাওয়া যাচ্ছে তাদের ট্রেনিং দিয়ে আমরা বসিয়ে দিচ্ছি। বাকীদের আনার চেষ্টা করছি।”
“বুথ বাড়লে নমুনা সংগ্রহ বাড়বে। এক্ষেত্রে আমাদের ল্যাবের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এগুলো সবই আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে আছে। সরকারি-বেসরকারি সবাই মিলে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চাই।”
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত করে আইইডিসিআর। বুধবার পর্যন্ত ১১ হাজার ৭১৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৮৬ জনের।
শুরুতে ঢাকার আইইডিসিআর নমুনা পরীক্ষা করলেও এখন সারাদেশের ৩৩টি গবেষণাগারে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৬৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।