মঙ্গা যেন না ফেরে, নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নতুন করোনাভাইরাসের প্রভাবে উত্তরের রংপুর অঞ্চলে যেন আবার মঙ্গা ফিরে না আসে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2020, 08:12 AM
Updated : 4 May 2020, 08:25 AM

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়ে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই রংপুরকে আমি বিশেষ করে বলে যাচ্ছি, যেহেতু এটা একটা মঙ্গাপীড়িত এলাকা ছিল, এখানে যারা একটু স্বচ্ছল পরিবার আছেন বা আমাদের যারা প্রশাসন বা আমাদের দলের নেতাকর্মী, সকলকে আমি অনুরোধ করব যে এই এলাকায় যেন আবার মঙ্গা ফিরে না আসে। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিতে হবে।”

সেখানকার দুস্থদের সাহায্য করা কর্তব্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, “সেখানে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে। কোনো মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। যারা সীমিত আয়ের মানুষ বা নিম্নবিত্ত বা একটু মধ্যবিত্ত অনেকেরই হয়ত কিছু অসুবিধা থাকতে পারে, যারা হাত পাততে পারে না, তাদের সহযোগিতার জন্যও কিন্তু আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

নতুন করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে আশঙ্কা করে কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে সেই নির্দেশনাও দেন সরকার প্রধান।

“এই দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য নিজের দেশকে যেমন আমরা রক্ষা করব পাশাপাশি অন্যান্য দেশ… ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে, আমরা বিভিন্ন খাদ্য পাঠিয়েছি, সহযোগিতা পাঠিয়েছি এবং আরো হয়ত আমাদের পাঠাতে হবে। সেইজন্য আমাদের এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে।”

ভিডিও কনফারেন্সে কৃষিখাতের উন্নয়নে দেওয়া বিশেষ প্রণোদনার কথা উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, “পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটা প্রণোদনা… সেখানে ডেইলি ফার্ম, পোল্ট্রি ফার্ম থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র, মাঝারি কৃষক, যারা মৎস্য চাষ করেন… প্রত্যেকে যেন কিছু সুযোগ পান তার ব্যবসাটা চালাতে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এই পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটা বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছি আর তাছাড়া নয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যে আমরা ভর্তুকিও দিচ্ছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ধান আমরা সংগ্রহ করব। এর মধ্যে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন আতপ, ৮০ হাজার মেট্রিক টন গমসহ প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমরা সংগ্রহ করব।

“২১ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য যদি আমরা সংগ্রহ করি তাহলে আশা করি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আমাদের আর খাওয়ার কোনো অসুবিধা হবে না। এরপর আমাদের সীমিত আকারে আউশ, আমন সেগুলোও আসবে বা অন্যান্য ফসল আসবে।”।

কাজেই বাংলাদেশে আর খাদ্যের অভাব যেন না হয় সেটা দেখতে হবে বলেও মন্তব্য করেন সরকার প্রধান।