মোয়াজ্জেম হোসেন অপু নামে এই ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার চারটি বাড়ি থেকে মাসে প্রায় চার লাখ টাকার মতো ভাড়া উঠে। আমি আপাতত দুই মাসের ভাড়া মওকুফ করেছি।”
এই সঙ্কটকালে অন্য বাড়িওয়ালাদেরও তার মতো এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
“যারা ভাড়া বাসায় থাকেন এ সঙ্কটের সময়েও সে পরিবারগুলোর মুখে যেন হাসি থাকে, এজন্য রাজধানীসহ সারা দেশের বাড়িওয়ালাদের এগিয়ে আসতে হবে।”
অপু ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের লাগবাগ থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। পৈত্রিক সূত্রে এই বাড়িগুলোর মালিক হয়েছেন তিনি।
কামরাঙ্গীর চরের চতুর্থ তলা বাড়িটির ভাড়াটিয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মো. গোলাম মোস্তফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ব্যবসা বন্ধ থাকায় কোনো আয়-ইনকাম নাই। দুই ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার চালাতেই কষ্ট হয়। এর মধ্যে দোকানের চার কর্মচারীর বাসা ভাড়াও আমার দিতে হয়।
“খুব বিপদে পড়ে বাড়ির মালিক অপুভাইকে বললে তিনি সবার দুই মাসের ভাড়া মাফ করে দেন।”
অপু বলেন, “আমি আমার বাবার একমাত্র সন্তান। একবছর আগে বাবা মারা গেছেন। আমার বাসার ভাড়াটিয়াদের মধ্যে কয়েকজন যোগাযোগ করেছিল, তারা বলেছে এই করোনাভাইরাসের সঙ্কটের মধ্যে সংসার চালাতেই কষ্ট হচ্ছে, ভাড়া দেব কীভাবে?
“তখন আমি দুই দিন পরে সব ভাড়াটিয়াদের বলেছি, আপনাদের দুই মাসের ভাড়া আমি নেব না। বাবার কষ্টের করা বাড়ির ভাড়া মওকুফ করলে হয়তবা বাবার আত্মা একটু শান্তি পাবে।”
বিষয়টি প্রকাশের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কলাবাগানে একজন বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের মারধর করে বের করে দেওয়ার ঘটনার পর আমি ভাবলাম, আমি এত টাকা বাড়ি ভাড়া মওকুফ করেছি, অথচ উনারা ভাড়াটিয়াকে মারধর করে বের করে দেয়। এটা তো ঠিক না, তাই সবাই জানুক যে আমি ভাড়া মওকুফ করেছি।”
অপু লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে, এর আগে ২০১২ সালে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন ২০১২ সাল থেকে। বর্তমানে তিনি এলএলবি করছেন।