এবার রোজায় ইফতার মাহফিলেও মানা

কোভিড-১৯ এর মহামারীর মধ্যে আসা এবারের রোজায় ইফতার মাহফিলের আয়োজন বা যোগদানও বিধিনিষেধের আওতায় পড়ল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2020, 05:46 AM
Updated : 24 April 2020, 11:12 AM

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার স্বার্থে রমজান মাসে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইফতার মাহফিলের আয়োজন বা যোগদান করতে পারবেন না।”

এই নির্দেশনা না মানলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে বলেও হুঁশিয়ার করা হয়েছে।

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মুসলমানরা শুক্রবার থেকে রোজা রাখা শুরু করেছেন। শুক্রবার রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশেও শনিবার থেকে রোজা শুরু হবে।

তবে করোনাভাইরাসের মহামারীর নজিরবিহীন পরিস্থিতিতে এবার বিশ্বের মুসলমানদের সামনে রোজা এসেছে ভিন্ন এক আবহে।

নতুন করোনাভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ অতি সংক্রামক বলে বিশ্বজুড়ে এখন সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। জন সমাগম এড়িয়ে চলার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও অন্তত তিন ফুট দূরত্ব থেকে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

সংক্রমণ এড়াতে দেশে সাধারণ মানুষকে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। জুমায় কেবল মসজিদের ইমাম, খতিব ও খাদেমসহ ১০ জন এবং অন্যান্য নামাজে ৫ জন নিয়ে জামাত হচ্ছে।

অন্যান্য বছর এই রোজার মাসে বিভিন্ন সংগঠন ও রাষ্ট্রীয়ভাবেও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হত এবং এসব ইফতার মাহফিলে শত শত মানুষ যোগ দিত।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবার রোজার মাসে মসজিদে এশার জামায়াতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদেম এবং ‍দুজন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশ নিতে পারবেন এবং এই ১২ জনই মসজিদের তারাবি নামাজ পড়তে পারবেন।

বাকি সবাইকে যার যার বাড়িতেই এশা ও তারাবির নামাজ পড়তে বলা হয়েছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “মসজিদে তারাবির নামাজ চালু থাকবে। তবে বাইরে থেকে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কারণ এমনিতেই একটি মসজিদে ১২ জনের বেশি লোক থাকেন।

“যেসব মসজিদে ইমাম, হাফেজ, খতিব ও খাদেম মিলিয়ে ১২ জন হবে না, সেসব মসজিদে বাইরে থেকে কে কে নামাজ পড়বে, তা মসজিদ কমিটি নির্ধারণ করবে।”

সৌদি আরব সরকার মক্কা ও মদিনার দুই পবিত্র মসজিদে রোজার দিনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে তারাবির নামাজ আদায়ের অনুমতি দিলেও বাকি সব মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন