ভাইরাসের বিস্তার মোকাবেলায় অনেক দেশকেই এখন নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। কিন্তু বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োগের ফলে অনেক দেশে সাংবাদিকদের কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে সিজেএ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
“সিজেএ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, চলমান সঙ্কট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশকে প্রভাবিত করতে কমনওয়েলথভুক্ত কয়েকটি দেশের সরকার বিশেষ ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটাচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ সীমিত করা হচ্ছে। সরকারের বিপক্ষে যায় এমন খবর প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের হয়রানি, এমনকি গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে।”
মহামারী নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে নেওয়া কোনো নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ যাতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে খর্ব না করে, সে বিষয়েও সরকারগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে সিজেএ’র বিবৃতিতে।
বরং এই মহামারীর সার্বিক দিকগুলো যাতে স্বাধীন সাংবাদিকতার মাধ্যমে তুলে ধরা সম্ভব হয়, সেজন্য সকারগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে সিজেএ।
“জনস্বাস্থ্যের এই জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে গিয়ে সরকারকেগুলোকে যে জনগণের কিছু স্বাধীনতা খর্ব করার মত পদক্ষেপ নিতে হতে পারে, সিজেএ তা বোঝে। কিন্তু সেই ক্ষমতার প্রয়োগ যে ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে, স্বচ্ছ্বতার সঙ্গে এবং আপাতত কেবল জরুরি প্রয়োজন মেটাতেই হওয়া উচিৎ, সে কথাও সিজেএ মনে করিয়ে দিতে চায়।”
সিজেএ বলছে, সরকার যদি জনগণের আস্থা ধরে রাখতে চায়, ঝুঁকিতে থাকা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিক্ষার রক্ষায় আন্তরিক হয় এবং সামাজিক উদ্বেগ এড়াতে চায়, তাহলে জাতীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে এই মহামারীর প্রভাব নিয়ে সঠিক সংবাদ এবং তথ্যবহুল আলোচনার সুযোগ অব্যাহত রাখা জরুরি।