আরও সাড়ে ৯ হাজার টন চাল, সোয়া ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি কর্মহীনদের তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা দিতে সপ্তম দফায় আরও ৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং ৯ হাজার ৬০০ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2020, 03:02 PM
Updated : 20 April 2020, 03:02 PM

৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ত্রাণ হিসেবে বিতরণের জন্য এবং এক কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিশু খাদ্য কিনতে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে সোমবার এই বরাদ্দ দিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে চিঠি পাঠিয়েছে।

এর আগে সাত দফায় ৬৪ জেলার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য সরকার ৪১ কোটি ৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং ৮৫ হাজার ৬৭ মেট্টিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছে।

জেলা প্রশাসকদের দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নির্দেশিকা অনুসরণ করে এসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে বলা হয়েছে।

সিটি করপোরেশন এবং পৌর এলাকায় বেশি সংখ্যক কর্মজীবী মানুষ বসবাস করে বিধায় জেলা প্রশাসকদের বরাদ্দের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকাকে বেশি গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।

আর শিশু খাদ্য কেনার শর্তে বলা হয়েছে, শিশুখাদ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধিসহ সংশ্লিষ্ট সব বিধি-বিধান ও আর্থিক নিয়ম যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে হবে। জি টু জি পদ্ধতিতে কিনে মিল্কভিটার উৎপাদিত গুঁড়ো দুধ ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এছাড়া শিশু খাদ্য হিসেবে খেঁজুর, বিস্কুট, ফর্টিফাইড তেল, ব্রাউন চিনি, সুজি, মশুর ডাল, সাগু, ফর্টিফাইড চাল, ওয়াটার পিউরিফায়ার ট্যাবলেট, বাদাম, মানসম্মত রেডিমেড ফুড ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য স্থানীয়ভাবে কিনে বিতরণ করতে হবে।

জেলা প্রশাসকদের যথাযথ শর্ত অনুসরণ করে ছাড় করা অর্থে শিশু খাদ্য কিনে তা বিতরণ করে নিরীক্ষার জন্য হিসাব সংরক্ষণ করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ত্রাণ নিলে লাগাতে হবে ৫টি গাছ

সরকারি ত্রাণ নিলে কমপক্ষে পাঁচটি গাছ লাগাতে হবে বলে নতুন করে দেওয়া ত্রাণ বরাদ্দপত্রে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সেখানে বলা হয়েছে, ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে শাক-সবজি কিনে বিতরণ করা যেতে পারে। প্রত্যেক ত্রাণ গ্রহণকারী কমপক্ষে পাঁচটি করে গাছ লাগাবেন।

এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, যারা ত্রাণ নেবেন তাদের প্রত্যেককে নিজের আঙ্গিনায় পাঁচটি করে ফলজ ও বনজ গাছ লাগাতে হবে।

“বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাস গাছ লাগানোর উপযুক্ত সময়। সেই দিকটি মাথায় রেখেই আমরা গাছ লাগানোর জন্য উদ্বুদ্ধ করছি। এখন যারা গাছ লাগাবেন ভবিষ্যতে এটা তাদেরই সম্পদ হবে।”