বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, সোমবার চেন্নাই থেকে রওনা হয়ে ১৬৪ জন বাংলাদেশি বিকাল ৪টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন।
বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহরিয়ার সাজ্জাদ রাত সোয়া ৮টায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, যারা এসেছেন তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে।
“আমরা দেখেছি যারা এসেছেন তাদের মধ্যে ৪৬ জন রোগী। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। তাদের সাথে থাকা এটেনডেন্টদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কারও শরীরের তাপমাত্রা বেশি পেলে তাকে হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠানো হবে।”
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে আকাশ পথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যস্থতায় সেখানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সহযোগিতা করছে।
ইউএস-বাংলার জনসংযোগ শাখার জিএম মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ২০ থেকে ২৫ এপ্রিল মোট ৬টি ফ্লাইটে চেন্নাই থেকে এবং ২১ ও ২৩ এপ্রিল কলকাতা থেকে দুইটি ফ্লাইট ঢাকায় আসবে।
“চেন্নাই থেকে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট এবং কলকাতা থেকে সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ফ্লাইটগুলো ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে।”
দুইটি রুটেই ইউএস-বাংলার ১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য সব দেশ থেকে যাত্রীদের আসা বন্ধ করে বাংলাদেশ।
এরপর ২১ মার্চ থেকে ভারত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার।
ওই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশগুলোর সঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটও বন্ধ হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হলেও প্রথমে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়; পরে তা ১৪ এপ্রিল থেকে বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল করা হয়।