শনিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও আইন সচিবের (বিচার) ই-মেইলে চিঠিটি পাঠিয়েছেন দ্য চিলড্রেন’স চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের (সিসিবি) চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম ও পরিচালক ইশরাত হাসান।
আব্দুল হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত কারণে সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সুপ্রিম কোর্টও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে উভয় বিভাগের বিচারকাজ স্থগিত রেখেছে। কিন্তু দেশের সংবিধান তা সমর্থন করে না।
“মানুষের মৌলিক অধিকারের স্বার্থে সর্বোচ্চ আদালতের দরজা কোনো অবস্থাতেই বন্ধ করে দেওয়া উচিত নয়। তাই একটি বেঞ্চ গঠন করে ভিডিও কনফারেন্স, স্কাইপ বা অন্য যে কোনো অনলাইন মাধ্যমে তা চালু করার জন্য মাননীয় প্রধান বিচরপতিকে অনুরোধ করছি। এর জন্য সব ধরনের সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।”
জরুরি অবস্থা ও যুদ্ধকালীন সময় বাদে মানুষের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ রাখার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে এই আইনজীবী বলেন, সেটাও রষ্ট্রিপতির ক্ষমতা, সেখানে প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার নেই।
“তাছাড়া যেহেতু দেশে জরুরি অবস্থা চলছে না, তাই অন্তত একটি বেঞ্চ চালু রাখা উচিত যেখানে মানুষ বিপদের সময় তার কথা নিয়ে যেতে পারে।”
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা যথাযথভাবে পালনে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ ও ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ ও বিতরণের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত বিশেষ সুরক্ষা পোশাক, অ্যাম্বুলেন্স, পরিবহন ও আবাসিক আইসোলেশনের ব্যবস্থার নেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।
হালিম বলেন, “জীবনের অধিকারের চাইতেও বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করাটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জীবনের অধিকার তো বিশাল ব্যপার। এখন শুধু মাত্র দুই বেলা খেয়ে বেঁচে থাকাটাই জরুরি।
“১৬ কোটি মানুষকে বাঁচাতে হলে মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। আর সেটি করতে হবে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে। এ অবস্থায় দেশের সর্বোচ্চ আদালত তার দরোজা বন্ধ করে রাখতে পারে না।”
চিঠিটি আবেদন হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও রুল জারির জন্য বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।