হাওরে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা, দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে দিশেহারা অবস্থার মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষকদের জন্য আরেক চোখ রাঙানি দিচ্ছে ভারী বৃষ্টির আভাস।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 April 2020, 05:35 PM
Updated : 14 April 2020, 05:36 PM

আগামীতে টানা কয়েক দিন মেঘালয় ও আসামের বরাক অববাহিকায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে, যাতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা এই পরিস্থিতিতে ওই অঞ্চলের কৃষকদের দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, শুক্রবার থেকে চার দিন (১৭ থেকে ২০ এপ্রিল) দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের মেঘালয়-আসামে ১০০ মিলিমিটার থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে।

এ সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার এলাকায়ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির প্রবণতা থাকবে। সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া ও শিলা বৃষ্টিরও আভাস রয়েছে।

হাওরে পাকা ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ধান কাটা শ্রমিকের সংখ্যা অপ্রতুল হয়ে পড়েছে।

ধান কাটা ব্যাহত ও আগাম বন্যায় হাওরের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত যেন না হয় সেজন্য চলমান বোরো মওসুমের পাকা ধান কাটা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ইতোমধ্যে চিঠিও দিয়েছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান জানান, বর্ষণে সুনামগঞ্জের যাদুকাটা, সিলেটের সারিগোয়াইন এবং নেত্রকোণার কংস ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার শঙ্কা রয়েছে।

“ফলে এ নদ-নদী এলাকায় স্বল্পমেয়াদি বন্যার দেখা দিতে পারে। ২১ এপ্রিলের পর বৃষ্টিপাত কমে যেতে পারে।”

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আরেক আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, এপ্রিলে মাসে দেশের উত্তর, উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে ২-৩ দিন বজ্রবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এ সময় দেশের অন্যত্র ৪-৬ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে।

ঝড়ো আবহাওয়া ও আকস্মিক বন্যা নিয়ে সার্বিক পূর্বাভাস বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

মঙ্গলবার নববর্ষের দিনে ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙ্গামাটি, রাজশাহী, পাবনা, সিলেট অঞ্চলসহ খুলনা বিবভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ সময় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাঙ্গামাটিতে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বুধবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও খুলনা বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/ বজ্রসহ হতে পারে। বিরাজমান এলাকায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।