পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আমাদের প্রিন্ট ভার্সন আপাতত বন্ধ রয়েছে। তবে অনলাইনে কাজ চালু রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
“যিনি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, ৩৭ বছর বয়সী সেই সাংবাদিক বাসায় থেকেই কাজ করতেন। তাই অফিসের অন্য কেউ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তারপরও আমরা খোঁজ নিচ্ছে গত দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই সাংবাদিকের কাছাকাছি কেউ গিয়েছেন কিনা। ওইভাবে কাউকে চিহ্নিত করতে পারলে কর্তৃপক্ষ হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠাবে।”
আক্রান্ত সাংবাদিকের এক স্বজন জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে তার গলা ব্যাথা ও জ্বর ছিল।
“গত শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক তাকে কিছু ওষুধ দিয়ে পাঁচদিন খেতে বলেন। অবস্থার উন্নতি না হলে করোনাভাইরাসের টেস্ট করতে বলেন।
“বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দেন। শুক্রবার সকালে সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানানো হয় যে তার নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ এসেছে।”
“মালিবাগের ভাড়ায় বাসায় স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে থাকেন ওই সাংবাদিক। চিকিৎসক তাকে বাসায় থাকতে বলেছেন এবং শ্বাসকষ্ট হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেছেন,” বলেন তার ওই স্বজন।
বর্তমানে ওই সাংবাদিকের হালকা জ্বর ছাড়া আর কোনো শারীরিক সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান তিনি।
এর আগে বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট ও যমুনা টেলিভিশনের দুই সাংবাদিক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।