বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে প্রবাসীদের ফেরানোর বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “প্রয়োজনবোধে আমরা আনব, যেখানে সহজ হয়।
“যেখানে সুযোগ হচ্ছে, আমরা অবশ্যই তাদেরকে সেখান থেকে নিয়ে আসছি।”
বাংলাদেশে এক মাস আগে যখন প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়, তার আগে-পরে কয়েক লাখ প্রবাসী দেশে ফিরে আসেন। বিপুল সংখ্যক প্রবাসী ফেরার পর সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করে দেয়।
বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া কোভিড-১৯ এ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশিদেরও আক্রান্ত এবং মারা যাওয়ার খবর আসছে গণমাধ্যমে।
এই মুহূর্তে ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরত আনা কঠিন মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “ইন্ডিয়া থেকে আনাটা খুব ডিফিকাল্ট। কারণ তারা আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত পুরোপুরি লকডাউন করে রেখেছে।”
প্রবাসী কর্মীদের ‘দুর্দশা লাঘব’র চেষ্টা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিভিন্ন দেশের সরকার আমাদের প্রবাসী ও দূতাবাসগুলোকে সহায়তা করছেন। তারা তাদের দেশের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সচেষ্ট আছেন।
“আমরা তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখব, আমি এবং প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী দুইজনে একসঙ্গে।”
প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানসহ কর্মকর্তারা ওই সভায় যোগ দেন।