ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বাড়ি বাড়ি তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজ আসনের দরিদ্র মানুষদের দ্বারে দ্বারে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য উপকরণ পৌঁছে দিচ্ছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2020, 07:36 AM
Updated : 9 April 2020, 07:42 AM

প্রায় চার লাখ মানুষ সহায়তা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন তিনি।

মুরাদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার এলাকার কোন মানুষকে যেন ঘর থেকে বের হতে না হয় সে জন্য হত-দরিদ্রদের প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে তাদের বাড়িতে।

“আমার এলাকায় কোন হত দরিদ্রকে ত্রাণ নেয়ার জন্য বা খাদ্য ক্রয়ের অর্থ যোগার করতে বাড়ির বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। এখানে প্রায় চার লাখ মানুষের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।”

৩ এপ্রিল থেকে শুর করে মঙ্গলবার পযন্ত ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার মানুষের বাড়িতে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে জানান তথ্য-প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজারের পাশাপাশি আমার সাধ্য অনুসারে মাছ দেয়া হচ্ছে য়েছে যেন তাদের পুষ্টির চাহিদা পূর্ণ হয়।

“একজন ডাক্তার হিসেবে বর্তমান সময়ে মানুষকে ঘরে রাখার গুরুত্ব খুব ভালো ভাবে অনুভব করছি আমি। আর সে কারণেই আমার এলাকার কারো যেন বাসা থেকে বের না হতে হয়, সেই জন্য সকল ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করা হচ্ছে।”

তথ্য-প্রতিমন্ত্রীর আগে স্বাস্থ্য-প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন মুরাদ হাসান।

ত্রাণ বণ্ঠণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি নিজ হাতে বেশ কিছু পরিবারকে ত্রাণ দিয়ে সকলকে বোঝাতে চেয়েছি, কীভাবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের ত্রাণ দিতে হবে। কোন নির্দিষ্ট স্থানে থেকে ত্রাণ দেয়ার থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছানো এ সময় বেশি কার্যকর। এতে হয়ত বাড়তি সময় দিতে হবে। কিন্তু এটি সবচাইতে কার্যকর উপায়।”

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের আরো সজাগ হওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।

সেই সঙ্গে, ত্রাণ সামগ্রীর সুষম বণ্টন নিশ্চিতে তালিকা তৈরি করে অসহায়, দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে জোর দেন জামালপুর-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য।

নিজ এলাকার মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সরিষাবাড়ির একটি মানুষও যেন না খেয়ে থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী নিজেদের জীবনবাজি রেখে জনগণের পাশে থাকব।”