তিতাসের ৮ হাজার প্রিপেইড গ্রাহক বিপাকে

করোনাভাইরাস সঙ্কটে লকডাউনের মধ্যে তিতাস গ্যাস ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করলেও কারিগরি জটিলতায় এই সুবিধা পাচ্ছেন  না আট হাজার গ্রাহক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2020, 01:14 PM
Updated : 7 April 2020, 01:14 PM

এসব গ্রাহককে তিতাসের ভেন্ডিং অফিস ও নির্ধারিত ব্যাংক থেকে রিচার্জ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

গ্যাসের অপচয় কমাতে ঢাকা শহরসহ আশপাশের তিতাসের বিতরণ অঞ্চলে দুই লাখ প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে।

তবে এই দুই লাখ মিটার স্থাপন করার আগে পরীক্ষামূলকভাবে স্থাপন করা হয়েছিল সাড়ে আট হাজার মিটার। এই গ্রাহকরাই পড়লেন বিপত্তিতে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর আবাসিক এলাকায় কিছু পুরনো প্রিপেইড মিটার রয়েছে। এই সঙ্কটের মধ্যে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স না পেয়ে ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন ওই এলাকার বেশ কয়েকজন কিছু বাসিন্দা।

সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোমবার হঠাৎ করে তার বাসায় গ্যাস বন্ধ হয়ে যায়। নিয়মিত যেসব ব্যাংকের শাখা থেকে তিনি মিটার রিচার্জ করতেন, ওই শাখাগুলোও বন্ধ। পরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কারওয়ান বাজারে তিতাসের কার্যালয়ে গিয়ে মিটার রিচার্জ করে আসার অনুরোধ করেন।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকদেরকে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি ব্যালেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু আগেই স্থাপন করা সাড়ে আট হাজার প্রিপেইড মিটারের কারিগরি সীমাবদ্ধতার কারণে ইমারজেন্সি ব্যালেন্সের সীমা বাড়ানো যায়নি।”

তিতাসের পক্ষ থেকে জরুরি মুহূর্তের জন্য দেওয়া কিছু ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে গ্রাহকরা এই সমস্যার সমাধান পেতে পারেন বলে জানান মামুন।

তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের এই সময়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি কমাতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস। সাধারণ গ্রাহকদের বিল জমা দিতে জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।