চারজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত, জিনজিরা ‘লকড ডাউন’

ঢাকার কেরানীগঞ্জে দুই দিনে চারজন নভেল করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার পর জিনজিরাসহ আশপাশের এলাকা ‘লকড ডাউন’ করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 April 2020, 05:04 PM
Updated : 6 April 2020, 05:17 PM

সোমরার রাতে স্থানীয় সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “জিনজিরায় সবার চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করা হল। খাবার-ওষুধ কেনা ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ। নিত্যপ্রয়োজনীয় কেনাকাটার জন্য প্রতিদিন বের হওয়া যাবে না। প্রতি মহল্লায় রেজিস্টার খাতায় রেকর্ড রাখা হবে কে কত বার বের হল।”

সবাইকে বাসায় থাকার আহ্বান জানান তিনি।

রোববার জিনজিরার পাশের মডেলটাউনে ৬৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় ওই এলাকায় জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সোমবার জিনজিরার হিজলতলা ও শুভাঢ্যায় ৫৮ ও ৫৫ বছর বয়সী আরও দুই ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয় বলে কেরানীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মোবারক হোসেন জানান।

মো. মোসলেম নামে একজন সরকারি চাকুরিজীবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুরো এলাকায় লকডাউন করা হয়েছে। কেউ অপ্রয়োজনে বের হচ্ছে না। পুলিশও মাইকে ঘোষণা করছে বের না হওয়ার জন্য।”

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, “পুরো জিনজিরা ইউনিয়ন ‘লকডডাউন’ করা হয়েছে। এখানে এই পর্যন্ত তিনজন নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।”

জিনজিরার রহমতপুরেও একজন নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম বলেন, “পুরো কেরানীগঞ্জে জনগণের চলাচল অত্যন্ত সীমিত করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেরানীগঞ্জে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না এবং বের হতেও দেওয়া হচ্ছে না।”

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২৩ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৩৩ জন; মারা গেছেন ১২ জন।