এদের সবাইকে উত্তরার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর ওই এলাকার ৭৬টি পরিবারকে ‘লকড ডাউন’ করেছে পুলিশ।
সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো. শাহ আলম রোববার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার দক্ষিণগাঁও এলাকার একটি পরিবারের ৬৫ বছর বয়সী গৃহকর্তার প্রথমে কোভিড-১৯ পরীক্ষায় পজিটিভ আসে। ওই দিনই তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরদিন শুক্রবার তার স্ত্রীর পরীক্ষার প্রতিবেদনেও পজিটিভ এলে তাকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়।
“এরপর শনিবার তাদের দুই মেয়ে এবং দুই নাতনির নভেল করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে।”
এরপর রোববার ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা এলাকার একজন চায়ের দোকানিরও করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
“ওই লোক যে ভবনে থাকতেন তার নিচতলায় একটি লন্ড্রির দোকান আছে। সেখানে তিনি নিয়মিত চা খেতে যেতেন, আড্ডা দিতেন। সেই দোকানির জ্বর হলে তার নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ আসে। রোববার তাকেও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
এদের বিষয়ে জানতে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সবুজবাগ এলাকা থেকে কয়েকজন এসে ভর্তি হয়েছেন।
“তবে তারা একই ফ্যামিলির কি না তা বলতে পারব না। তাদের বিস্তারিত আইইডিসিআর বলতে পারবে।”
পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এখন পর্যন্ত ওই এলাকার ৭৬টি পরিবারকে ‘লকড ডাউন’ করা হয়েছে। প্রথমে নয়টি বাড়ির ৩২ পরিবারকে ‘লকড ডাউন’ করা হয়েছিল।
“পরে আরও কয়েকটি বাড়ির কয়েকটি পরিবারকে আমরা ‘লকড ডাউন’ করে দিয়েছি। তারা আপাতত বাড়ির বাইরে বের হতে পারবেন না। ওই গলির মুখে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে।”