বন্দিদশার মধ্যে পর্যাপ্ত খাবার না পেয়ে পশু-পাখিগুলো এই আচরণ করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
করোনাভাআইরাসের বিস্তার ঠেকাতে লকডাউনের কারণে কাঁটাবন মার্কেটের শতাধিক দোকান এখন বন্ধ, ফলে এর ভেতরে আটকা পড়ে আছে পশু পাখিগুলো।
এখন পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই এদের কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে স্বপন দাস নামে একজন ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
শনিবার বিকালে একটি ছবি দিয়ে তিনি লিখেছেন, “আপনারা যে ছবিটা দেখছেন তা কাঁটাবনে অবস্থিত পশুপাখি মার্কেটের। আজকে বিকেলে শাহবাগ থেকে ওষুধ আনার জন্য এই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় এক মর্মান্তিক দৃশ্য চোখে পড়ে। দেখি পশুপাখির বন্ধ দোকান গুলো থেকে আঁটকে থাকা কুকুরগুলো প্রচণ্ড আর্তনাদ করছে। তাদের চিৎকার শুনলে পাষাণহৃদয় মানুষও কষ্ট পাবে। তাদের খাওয়া নেই, দাওয়া নেই। তাদের ছোট ছোট খোপের ভেতরে সেই কবে আটকিয়ে চলে গেছে কে জানে। এই প্রাণীগুলো বাঁচবে কীভাবে?”
কাঁটাবনের এই মার্কেটে দেশি-বিদেশি কুকুর, পাখি, মাছ এখানে পাওয়া যায়। লকডাউন হওয়ায় দোকান মালিকরা দোকান বন্ধ করে চলে যায়।
এই স্ট্যাটাসে চক্রবর্তী প্রবীর নামে একজন মন্তব্য করেছেন, “আজ্ঞে হ্যাঁ স্যার, আমার বাসার একদম কাছে। আমিও দেখেছি।”
সঞ্জিব কুমার সাহা নামের একজন বলেছেন, “অসহায় পশু পাখিদের প্রাণ রক্ষা করতে হবে।”
স্বপন দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শনিবার বিকালে মার্কেটের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বন্ধ একাধিক দোকান থেকে কুকুরদের কান্নার শব্দ শুনতে পাই। কিছু কিছু দোকান থেকে পাখিসহ অন্য প্রাণীর চেঁচামেচিও শোনা যাচ্ছিল।”
করোনাভাইরাসের কারণে দোকান মালিকরা বন্ধ করে চলে যাওয়ায় এই প্রাণীগুলো অভুক্ত বলে ধারণা স্বপন দাসের।
বিষয়ূটি নিয়ে যোগাযোগ করা হলে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বন্দি প্রাণীগুলোকে খাবার দেওয়ার সুযোগ তারা দিচ্ছেন।
“দোকান মালিকদের ডেকে শাটার পুরো না খুলে দিনে অন্তত একবার জীবন্ত পশু পাখিদের খাবার দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তারা তাই দিচ্ছে।”
তবে প্রিটি বার্ড নামের সেখানের এক দোকানের মালিক পলাশ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পশু-পাখিদের খাবার দেওয়ার জন্য তিনি সকালে এবং সন্ধ্যায় অল্প সময়ের জন্য দোকান খোলার অনুমতি প্রশাসনের লোকজনের কাছ থেকে পেয়েছেন।
“দোকান খোলা রাখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন এসে বন্ধ করতে বলে। ফলে পশু পাখিদের যে সময় দেওয়া দরকার, তা না পাওয়ায় নানা সমস্যা হচ্ছে।”