করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব ও উত্তরণের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করতে রোববার সকালে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “আমাদের শবে বরাত সামনে। সেই সময় আমি বলব ঘরে বসে বসে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সবাই দোয়া করুন। আমাদের বরাতটা যেন আল্লাহ ভালো রাখে এবং দেশে মানুষ যেন আর্থ-সামাজিকভাবে এগিয়ে যেতে পারে আর এই মহামারীর হাত থেকে যেন বাংলাদেশের জনগণসহ সারা বিশ্ববাসী মুক্তি পায়।”
আগামী ৯ এপ্রিল রাতে শবে বরাত পালন করবে বাংলাদেশের মুসলমানরা। ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র এই রজনীতে মসজিদে গিয়ে ইবাদত করা হয়ে থাকে।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে ছোঁয়াচে এই রোগের বিস্তার ঠেকাতে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই মসজিদ বন্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশে মসজিদ বন্ধ না হলেও উপস্থিতি সীমিত রাখার আহ্বান জানিয়ে আসছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশে মহামারী ঠেকাতে সরকারের ঘরে থাকার নির্দেশনার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, “এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে নিজ নিজ বাসস্থানে বসে পবিত্র শবে বরাতের ইবাদত যথাযথ মর্যাদায় আদায় করার জন্য সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিষয়ক নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আপনারা ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন এবং নিয়ম নীতি মেনে চলুন। সেটাই আমরা চাই। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সবাই দোয়া করেন।”
আগামী ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষও ঘরে বসে উদযাপন করার আহ্বান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “এই নববর্ষ সকলে ঘরে বসে উদযাপন করেন নিজের মতো করে। সেখানে আপনারা অথবা মিডিয়ার মাধ্যমে আপনারা উদযাপন করতে পারেন। আমাদের যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা যা কিছু সব মিডিয়ার মাধ্যমেই হবে।”