২৪ দিনেও সন্ধান মেলেনি সাংবাদিক কাজলের

ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার পর ২৪ দিন ধরে নিখোঁজ সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধান এখনো মেলেনি। পুলিশ সঠিকভাবে তদন্তকাজ চালাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবার।

গোলাম মুজতবা ধ্রুববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2020, 09:11 AM
Updated : 4 April 2020, 09:11 AM

তার ছেলে মনোরম পলক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রায় এক মাস ধরে বাবাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়েছি। জানি না তিনি কোথায় আছেন। কিন্তু আমরা তাকে সুস্থভাবে ফেরত চাই।

“পুলিশের কাছে বাবার সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে একটা ভিডিও ফুটেজ আছে। পুলিশ বলছে, তারা ওই ফুটেজে রহস্যময় কিছু দেখছে না। কিন্তু আমরা মনে করি, পুলিশ সঠিকভাবে তাদের কাজ করছে না।”

এক সময় দৈনিক সমকাল ও বণিক বার্তায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা কাজল এখন ‘পক্ষকাল’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা সম্পাদনা করছেন।

এক সময়ের জাসদ ছাত্রলীগ নেতা কাজলের সন্ধান দাবিতে তার পুরনো রাজনৈতিক সহকর্মী, স্বজন ও সাংবাদিকদের আন্দোলনের মধ্যে সম্প্রতি কাজলের একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

ওই ফুটেজে কাজলকে একটি জায়গায় রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল রেখে পাশের কোথাও যেতে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ ফিরে এসে মোটরসাইকেল চালিয়ে যান তিনি। এর মধ্যে তার ওই মোটরসাইকেল ঘিরে কয়েকজনকে তৎপরতা চালাতে দেখা যায়।

ওই ফুটেজ ধরে কোনো অনুসন্ধান হয়েছে কি না জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার এসআই মুন্সী আবদুল লোকমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই ভিডিওতে আমরা তেমন কিছু পাইনি। সেখানে কাজলকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি।”

গত ১০ মার্চ শফিকুল ইসলাম কাজল তার বকশিবাজারের বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি তার পরিবার।

পরদিন কাজলের স্ত্রী জুলিয়া ফেরদৌসী চকবাজার থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন। ১৮ মার্চ কাজলের সন্ধান চেয়ে চেয়ে চকবাজার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা করেন মনোরম পলক।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে লেখালেখির কারণে অজ্ঞাতনামা কেউ তাকে অপহরণ করেছে।

পুলিশ অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে মামলাটির তদন্ত করছে দাবি করে এসআই লোকমান শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“আমরা তার ছেলের কাছে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের নাম চেয়েছি।

“কিন্তু তার ছেলে এখনো কারো নাম দেয়নি। সন্দেহজনক কারো নাম পেলে পুলিশ প্রয়োজনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।”