নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় সংবাদপত্র ও জ্বালানিকে জরুরি সেবার আওতায় এনে আদেশ সংশোধন করেছে সরকার।
Published : 02 Apr 2020, 02:45 PM
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার ছুটির আদেশ সংশোধন করে জরুরি সেবার আওতায় ‘সংবাদপত্র’ ও ‘জ্বালানি’ পরিসেবাকে যুক্ত করেছে।
৫ থেকে ৯ এপ্রিল সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে তার সঙ্গে ১০ ও ১১ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও সংযুক্ত হবে জানিয়ে বুধবার আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়েছিল, জরুরি পরিসেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।
“কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।”
জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে জানিয়ে ছুটির আদেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ঔষধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা চালু রাখতে পারবে।
“মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিক্সা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস সার্ভিস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। এবং জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।”
আদেশ সংশোধন করে সাধারণ ছুটির সময় সংবাদপত্র ও জ্বলানিকেও জরুরি পরিসেবার আওতায় আনা হয়েছে।
ছুটির সময় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় এবং প্রাপ্ত তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তিনজন করে কর্মকর্তাকে প্রতিদিন দপ্তরে এসে অফিস করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বন্ধের দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখায় উপস্থিত থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কোন কোন কর্মকর্তাকে কোন দিন অফিসে আসতে হবে তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কল্যাণ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ কামাল হোসেন বিষয়টি তদারকি করবেন এবং প্রশাসন-৪ শাখা সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে অফিস আদেশে বলা হয়েছে।