স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই নির্দেশনা স্থগিত

করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে- এমন রোগীকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা পোশাক (পিপিই) ছাড়াই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়ার পর সমালোচনার মুখে ওই নির্দেশিকা স্থগিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2020, 05:02 PM
Updated : 25 March 2020, 08:39 PM

ছোঁয়াচে রোগ কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সব হাসপাতালে সব রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের জন্য বুধবার একটি নির্দেশনা দেয় অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকায় বলা হয়, ‌“যদি কোনো রোগীর কোভিড-১৯–এর লক্ষণ থাকে, তবে প্রথম চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দেবেন এবং প্রয়োজনে পিপিই পরিধানকৃত দ্বিতীয় চিকিৎসকের কাছে প্রেরণ করবেন এবং তিনি পিপিই পরিহিত অবস্থায় রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করিবেন।”

ওই আদেশে আরও বলা হয় ‘সরকারী ও বেসরকারি সকল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক কোনো রোগীকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে অস্বীকৃতি জানাতে পারবেন না।”

কিন্তু এতে প্রথম চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় আশঙ্কায় ব্যাপক সমালোচনা ওঠে। চিকিৎসকদের কেউ কেউ এ নিয়ে আপত্তি জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় স্থগিত করা হয় ওই নির্দেশনা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) আমিনুল হাসান রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নির্দেশনাটি পুনরায় সমন্বয় করার জন্য স্থগিত করেছি। আজ সন্ধ্যায় করা হয়েছে। রিভাইজড নির্দেশনাটি কাল দিয়ে দেওয়া হবে।”

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে মুক্ত থেকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নির্দেশিত পোশাক নীতিমালাই পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই। এতে রয়েছে মেডিকেল মাস্ক, গাউন, গগলস, ফেস শিল্ড, হেভি ডিউটি গ্লাভস ও বুট।

নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর পিপিই না থাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকরা রোগীদের ফিরিয়ে দেয়।

পিপিই ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের মধ্যেও রোগ সংক্রমিত হয়েছে। কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে ওই হাসপাতালের কয়েকজন নার্স, চিকিৎসকসহ কয়েকজন কর্মীকে।