‘পরীক্ষার জন্য তিন দিন ধরে অপেক্ষায় রেখেছে আইইডিসিআর’

করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে বেশ কয়েক দিন আইইডিসিআর ও কুর্মিটোলা হাসপাতালে ঘুরেও কোনো সমাধান না পেয়ে চিকিৎসা না করার ঘোষণা দিয়েছেন আতিকা রোমা নামে ঢাকার একজন বাসিন্দা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2020, 03:49 PM
Updated : 25 March 2020, 04:03 PM

বুধবার দুপুরে এক ফেইসবুক পোস্টে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, সরকারি এই প্রতিষ্ঠান তার পরীক্ষার জন্য নমুনা নিতে দুই বার সময় দিয়েও শেষ পর্যন্ত বাসায় আসেনি। কুর্মিটোলা হাসপাতালে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও চিকিৎসকের সাক্ষাৎ পাননি।

অথচ গত ১২ দিন ধরে তিনি জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাস কষ্টসহ অন্যান্য সমস্যায় ভুগছেন। প্রতিনিয়তই নেবুলাইজার ও ইনহেলার ব্যবহার করে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছেন।

আইইডিসিআর এর পরিচালক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন চিকিৎসক তাকে কথা দেওয়ার পর তা ‘ভঙ্গ করেছেন’ বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এই নারীর অভিযোগ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ওই চিকিৎসক করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা নিতে গত সোমবার সকাল ৮টায় তার বাসায় আসবে বলে সময় দেয়। সকাল ১১টার মধ্যেও তারা না আসায় তিনি নিজেই সকাল ১১টার দিকে ওই হাসপাতালে চলে যান।

তবে সেখানে যাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক আর ফোন ধরেননি। বিষয়টি মীরজাদি সেব্রিনাকে জানালে তিনি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত হয় বাসায় অবস্থান করার। মঙ্গলবার সকালে নমুনা নেওয়ার বিষয়ে আবারও আশ্বাস দেয় আইইডিসিআর। তবে সেদিনও তারা আসেননি।

এরপর বুধবার দুপুরে ফেইসবুকে এই পোস্ট দেন আতিকা রোমা।

“গতকাল থেকে তীব্র শ্বাস কষ্টে ভীষণ কষ্ট পাচ্ছি। নিজে নিজে নেবুলাইজ করছি। হ্যাঁ, আমি আর কারো কাছে যাব না। আমার কোনো চিকিৎসার দরকার নেই।”

“সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগের ফলাফল যদি এই হয়, তবে ধরেই নিচ্ছি বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কেউ নেই।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশেষ কোনো রোগীর বিষয়ে মন্তব্য করা কঠিন। কারণ অনেক লোকই প্রতিকারের জন্য আসেন। কারও নাম পরিচয় মনে রাখা কঠিন। তবে আইইডিসিআর রোগীর লক্ষণ উপসর্গ দেখে পরিস্থিতি অনুযায়ী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রোগ নির্ণয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।

“আবার অনেক সময় কারও বাসায় গিয়ে পরীক্ষার ক্ষেত্রে চিকিৎসাকর্মীরা হয়ত বাসার ঠিকানা খুঁজে পান না। সেক্ষেত্রে একটু দেরি হতে পারে।”