এই ‘যুদ্ধে’ জিততে ঘরে থাকুন: শেখ হাসিনা

দেশে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে সরকারের প্রচেষ্টায় আস্থা রেখে, আতঙ্কিত না হয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুসরণ করে সুরক্ষিত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2020, 03:12 PM
Updated : 25 March 2020, 05:03 PM

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বর্তমান পরিস্থিতিকেও যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেছেন, “করোনাভাইরাস মোকাবেলাও একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আপনার দায়িত্ব ঘরে থাকা। আমরা সকলের প্রচেষ্টায় এ যুদ্ধে জয়ী হব।”

বৈশ্বিক মহামারী রূপ পাওয়া কভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন দেশ লকডাউন ঘোষণার পর বাংলাদেশও এক থেকে অন্যের মধ্যে সংক্রমণ এড়াতে গণপরিবহণ বন্ধ করেছে, ফলে দেশ হয়ে পড়েছে কার্যত অবরুদ্ধ। এটাই ভাইরাসের বিস্তার রোধে কার্যকর পন্থা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, “যতদূর সম্ভব ঘরে থাকবেন। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাবেন না। মুসলমান ভাইয়েরা ঘরেই নামাজ আদায় করুন এবং অন্যান্য ধর্মের ভাইবোনদেরও ঘরে বসে প্রার্থনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

দেশে মহামারী ঠেকাতে সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপ তুলে ধরার পাশাপাশি এই সঙ্কটের সুযোগগ্রহণকারী এবং গুজব রটনাকারীদের হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

পাশাপাশি বিপর্যস্ত গরিব মানুষের জন্য নানা কর্মসূচি নেওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণাও দেন।

মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সাহসের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বানও জানান সরকার প্রধান।

তিন মাস আগে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস সারাবিশ্বে মহামারী রূপ নিয়ে বাংলাদেশেও সংক্রমিত হওয়ার মধ্যে স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন জাতির সামনে ভাষণ নিয়ে আসেন শেখ হাসিনা।

কভিড-১৯ রোগে ইতোমধ্যে বিশ্বে ১৯ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটেছে, আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশে মারা গেছেন পাঁচজন, আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯।

করোনাভাইরাসের ব্যাপক বিস্তার ঠেকাতে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে; এবার স্বাধীনতা দিবসের প্রায় সব অনুষ্ঠানই বাদ দেওয়া হয়েছে।

ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এবারের স্বাধীনতা দিবস এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হচ্ছে। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গোটা বিশ্ব এখন বিপর্যস্ত।

“ধনী বা দরিদ্র, উন্নত বা উন্নয়নশীল, ছোট বা বড়- সব দেশই আজ কমবেশি নভেল করোনা নামক এক ভয়ঙ্কর ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশও এ সংক্রমণ থেকে মুক্ত নয়।”

এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষাই এখন সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানান তিনি।

“এ পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে আমরা এবারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ভিন্নভাবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনসমাগম হয়, এমন ধরনের সব অনুষ্ঠানের আয়োজন থেকে সবাইকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার মানুষকে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা।”

বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশে অতি সংক্রামক এই ব্যাধি বাংলাদেশে ব্যাপক মাত্রায় ছড়িয়ে পড়লে কী পরিণতি ঘটবে- তা নিয়ে সবার মধ্যে রয়েছে উদ্বেগ-আতঙ্ক।

জনসমাগমে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ে বলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল আগেই।

আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সোমবার সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব অফিস-আদালতে ছুটি ঘোষণা করে।

এরপর মঙ্গলবার সড়ক, নৌ ও আকাশপথে সব ধরনের যোগাযোগও বন্ধের ঘোষণা এলে ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশও বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মত কার্যত অবরুদ্ধ দশার মধ্যে পড়ে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি জানি আপনারা এক ধরনের আতঙ্ক ও দুঃশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। যাদের আত্মীয়স্বজন বিদেশে রয়েছেন, তারাও নিকটজনদের জন্য উদ্বিগ্ন রয়েছেন। আমি সকলের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি।

“কিন্তু এই সঙ্কটময় সময়ে আমাদের ধৈর্য এবং সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।”

ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলা এবং যতদূর সম্ভব, ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন সরকার প্রধান।

যারা করোনাভাইরাস-আক্রান্ত দেশ থেকে ফিরেছেন, তাদের হোম কোয়ারেন্টিন বা সঙ্গ নিরোধ থাকার নির্দেশনা ‘অক্ষরে অক্ষরে’ মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

“মাত্র ১৪ দিন আলাদা থাকুন। আপনার পরিবার, পাড়াপ্রতিবেশী, এলাকাবাসী এবং সর্বোপরি দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য এসব নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন,” বলেন শেখ হাসিনা।

কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শও দেন তিনি।

>> ঘনঘন সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি-কাশি দিতে হলে রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে নিতে হবে। যেখানে-সেখানে কফ-থুথু ফেলা যাবে না।

>> করমর্দন বা কোলাকুলি থেকে বিরত থাকতে হবে। যতদূর সম্ভব ঘরে থাকতে হবে। অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না।

>> বাইরে জরুরি কাজ সেরে বাড়িতে থাকতে হবে। মুসলমানদের নামাজ আদায় এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ঘরে বসে প্রার্থনা করতে হবে।

>> করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে আইইডিসিআরের হটলাইন নম্বর এবং সোসাইটি অব ডক্টরসের ৫০০টি নম্বরে ফোন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেন।

তবে, আগে থেকেই নানা রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই ভাইরাস বেশ প্রাণ-সংহারী হয়ে উঠেছে।”

এই কারণে পরিবারের সবচেয়ে সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সঙ্কটকালীন এই পরিস্থিতির সুযোগ না নিতে সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ সঙ্কটময় সময়ে আমাদের সহনশীল এবং সংবেদনশীল হতে হবে। কেউ সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবেন না।”

গুজব রটনাকারীদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “কেউ গুজব ছড়াবেন না। গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সঙ্গে সরবরাহ চেইন অটুট রয়েছে।

“অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করবেন না। জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না। সর্বত্র বাজার মনিটরিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

 

সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকিয়ে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

>> চীনে প্রাদুর্ভাবের পর থেকেই বিমানবন্দর, সমুদ্র বন্দর, স্থলবন্দরে বিদেশ ফেরতদের স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ পর্যন্ত ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৮১ জন যাত্রীর স্ক্রিনিং করা হয়েছে।

>> করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ ও দিক-নির্দেশনা দিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

>> করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের জন্য ঢাকায় ৬টি হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩টি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য পৃথক শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

>> ঢাকায় ১০ হাজার ৫০টিসহ সারা দেশে ১৪ হাজার ৫৬৫টি আইসোলেশন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

>> সারাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য ২৯০টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে মোট ১৬ হাজার ৭৪১ জনকে রাখা যাবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশে ৩৭ হাজার ৩৮ জন কোয়ারেন্টিনে ছিলেন, এরমধ্যে ৯ হাজার ৮৮৫ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এছাড়া সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকায় আশকোনা হজ ক্যাম্প এবং টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

>> এছাড়া ২৬৭ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ২৭৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

>> ঢাকায় ৮টি পরীক্ষার যন্ত্রের পাশাপাশি দেশের অন্য ৭টি বিভাগে করোনাভাইরাস পরীক্ষাগার স্থাপনের কাজ চলছে।

>> এই মহামারী মোকাবেলায় সার্ক তহবিল গঠিত হয়েছে, বাংলাদেশ ১৫ লাখ ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আশ্বস্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে এবং যথেষ্ট পরিমাণ সরঞ্জাম মজুদ আছে।

“ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রীরও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভ্রান্ত হবেন না। স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ১৩ হাজার পরীক্ষা কিট মজুদ ছিল। আরও ৩০ হাজার কিট শিগগিরই দেশে পৌঁছবে।”

স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সাইফুল ইসলাম কল্লোল

বিশ্বের ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে প্লেগ, গুটিবসন্ত, কলেরার মতো মহামারী মোকাবেলা করে মানুষের জয়ী হওয়ার দিকটি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “যুগে যুগে জাতীয় জীবনে নানা সঙ্কটময় মুহূর্ত আসে। জনগণের সম্মিলিত শক্তির বলেই সেসব দুর্যোগ থেকে মানুষ পরিত্রাণ পেয়েছে।”

এখন কৃচ্ছ সাধনের সময় মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যতটুকু না হলে নয়, তার অতিরিক্ত কোনো ভোগ্যপণ্য কিনবেন না, মজুদ করবেন না।”

সরকারি গুদামগুলোতে যথেষ্ট খাদ্য শস্য মজুদ রয়েছে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেন তিনি। এখন কোনো জমি ফেলে না রেখে আরও বেশি বেশি ফসল ফলানোর জন্য তিনি কৃষকদের অনুরোধ জানান।

সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সমগ্র বিশ্ব এক অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে চলছে। তবে যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য আমাদের সরকার প্রস্তুত রয়েছে।

“আমরা জনগণের সরকার। সব সময়ই আমরা জনগণের পাশে আছি। আমি নিজে সর্বক্ষণ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।”

তিনি বলেন, “করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়ানোর ক্ষমতা রাখলেও ততটা প্রাণঘাতী নয়। এ ভাইরাসে আক্রান্ত সিংহভাগ মানুষই কয়েকদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেন। তবে, আগে থেকেই নানা রোগে আক্রান্ত এবং বয়স্ক মানুষদের জন্য এই ভাইরাস বেশ প্রাণ-সংহারী হয়ে উঠেছে।

“সে জন্য আপনার পরিবারের সবচেয়ে সংবেদনশীল মানুষটির প্রতি বেশি নজর দিন। তাঁকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন। তাঁকে ভাইরাসমুক্ত রাখার সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করুন।”

আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আতঙ্ক মানুষের যৌক্তিক চিন্তাভাবনার বিলোপ ঘটায়। সব সময় খেয়াল রাখুন আপনি, আপনার পরিবারের সদস্যগণ এবং আপনার প্রতিবেশিরা যেন সংক্রমিত না হন।

“আপনার সচেতনতা আপনাকে, আপনার পরিবারকে এবং সর্বোপরি দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে।”