তার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যমে প্রচার করা হবে।
এর আগে ২৩ মার্চ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।
বিশ্বজুড়ে অচলাবস্থা তৈরি করা করোনাভাইরাস মহামারী যে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে গুরুত্ব পাবে, সে কথা কাদেরও সেদিন বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমাদের এখানে এখন মাথা গরম করে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারি না। আমাদের সর্বাত্মকভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কখন কী করতে হবে… সকলের কাছে অনুরোধ করব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রাখুন, সরকারের প্রতি আস্থা রাখুন।”
বিশ্বজুড়ে এই সঙ্কটে দেশের দরিদ্র মানুষের পাশাপাশি অর্থ-বাণিজ্যের খাত যে বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়েছে, তা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দিক নির্দেশনা থাকতে পারে এবং আর্থিক সহায়তার ঘোষণা আসতে পারে বলে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ধারণা পেয়েছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের হিসাবে বিশ্বের ১৭০ দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজারে পৌঁছেছে; আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষ।
আর বাংলাদেশে সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত ৩৯ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যাদের পাঁচজন ইতোমধ্যে মারা গেছেন।
জনসমাগমে ভাইরাস ছড়ানোর ঝুঁকি বাড়ে বলে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা এসেছিল আগেই।
আক্রান্তের সংখ্যা ত্রিশ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর সোমবার সরকার ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব অফিস-আদালতে ছুটি ঘোষণা করে।
এরপর মঙ্গলবার সড়ক, নৌ ও আকাশপথে সব ধরনের যোগাযোগও বন্ধের ঘোষণা এলে ১৬ কোটি মানুষের দেশ বাংলাদেশও বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মত কার্যত অবরুদ্ধ দশার মধ্যে পড়ে।
ওবায়দুল কাদের সেদিন বলেছিলেন, “যখন যেটা করতে হবে যথা সময় ব্যবস্থা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে যেসব কথা বলা দরকার জাতির উদ্দেশে ভাষণে সে করণীয় সম্পর্কে তিনি অবশ্যই জাতিকে জানাবেন, এটাই প্রত্যাশিত।”