বুয়েটের ঢাকেশ্বরী আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা কোয়ারেন্টিনে

বুয়েটের ঢাকেশ্বরী আবাসিক এলাকার একটি কোয়ার্টারে একজন নভেল করোনাভাইরাসের রোগী ধরা পড়ায় ওই এলাকার সব বাসিন্দা এখন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 March 2020, 05:44 PM
Updated : 23 March 2020, 05:44 PM

ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আইইডিসিআর সোমবার নিশ্চিত করার পর ব্যাপক সংক্রমণ এড়াতে এই পদেক্ষপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই আবাসিক এলাকার পরিবেশ কমিটি বুয়েট-ঢাকেশ্বরী  আবাসিক এলাকা আগামী ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছে।”

দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গত ১৬ মার্চ থেকে বুয়েট বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা নেই ক্যাম্পাসে।

ঢাকেশ্বরী আবাসিক এলাকার কোয়ার্টারে বুয়েটের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ১৫০টি পরিবার রয়েছে। যে ভবনে রোগী পাওয়া গেছে, সেখানে রয়েছে ৪৪টি পরিবার।

সোমবার ওই আবাসিক এলাকার পরিবেশ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক প্রাণ কানাই সাহা  ও সদস্য সচিব  ড. আ ফ ম সাইফুল আমিন স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ‘লকডাউন’র সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এতে বলা হয়, “আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রত্যেক বাসিন্দাকে আগামী ১৪ দিন বাধ্যতামূলক নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। সবাইকে নিরাপদ রাখার এবং বৃহত্তর স্বার্থে সামাজিক বিচ্ছিন্নতার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আক্রান্ত নারী একজন শিক্ষকের মা। তিনি গত ১১/১২ মার্চ ভারত থেকে দেশে ফেরেন। এরপর কয়েকদিন পর তার জ্বর আসে, কাশি ও শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন তিনি।

অধ্যাপক মিজানুর বলেন, “তিন আগে আইইডিসিআর থেকে লোকজন এসে তার শরীরের নমুনা নিয়ে যান। আজকে করোনাভাইরাস পজিটিভ বলে সেখান থেকে জানানো হয়েছে।”

আক্রান্ত নারীর সংস্পর্শে আসা তার দুই মেয়ের নমুনাও পরীক্ষার জন্য নিয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইডিসিআর)।

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ছয়জন কভিড-১৯ রোগী পাওয়ার কথা সোমবার বিকালেই জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এনিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩ জনে পৌঁছেছে।