স্থানীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খুলনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
এই সিদ্ধান্তকে স্থানীয় আখ্যা দিয়ে পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত তারা নেননি। সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
খুলনার আগে রাজশাহী থেকে সারাদেশের পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে খুলনার অভ্যন্তরীণ রুটে বাস চলাচল করবে।
পরিবহন শ্রমিক নেতা নুরুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে খুলনা থেকে ঢাকা, বরিশাল, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দূরপাল্লার সব রুটে বাস চলাচল ২৫ মার্চ বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
“আমরা সরকারের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা না পেলে লকডাউনের কোনো চিন্তা করিনি। মালিক-শ্রমিকদের বলেছি যে যদি মনে হয় চালাবেন, নইলে বন্ধ করে রাখবেন।”
গাবতলী থেকে এখনও প্রায় ৩০ শতাংশের মতো পরিবহন চলাচল করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ছেড়ে যাওয়ার আগে যানবাহন জীবানুমুক্ত করা হচ্ছে। যাত্রীদের স্যানিটাইজার এবং টিস্যু সরবরাহ করা হচ্ছে।”
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, যাত্রী কমে যাওয়ায় বাসের চলাচল এমনিতেই কমে গেছে। তারপরও তারা সড়ক পরিবহন সচল রাখার চেষ্টা করছেন।
“আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে নির্দেশনা পেলে বাস চলাচল বন্ধ করব। এর আগে বাস চলবে।”
নভেল করোনাভাইরাস বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পর্যন্ত ৩৩ আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে তিন জন মারা গেছেন।
নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানো রোধে বন্ধ করা হয়েছে স্কুল-কলেজ, স্থগিত করা হয়েছে সব পরীক্ষা; সভা-সমাবেশ নিরুসাহিত করা হচ্ছে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর।