করোনাভাইরাস সঙ্কটও জয় করবে বাংলাদেশ: জয়

নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে যে সঙ্কট তৈরি করেছে, বাংলাদেশে তা মোকাবেলায় সফল হওয়ার আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

স্যোশাল মিডিয়া ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2020, 05:16 PM
Updated : 22 March 2020, 05:19 PM

তিনি বলেছেন, “বাঙালি জাতি সহনশীল ও সাহসী। অনেক বড় দুর্যোগও সফলভাবে মোকাবেলার করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সব নির্দেশনা মেনে চললে এই সংকটও আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারব।”

কঠিন এই সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলার পাশাপাশি এই ভাইরাস নিয়ে গুজব থেকে সাবধান থাকতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন জয়।

পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার নেওয়া করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে দুজনের। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে সব স্তরে।

এই পরিস্থিতিতে রোববার এক ফেইসবুক পোস্টে জয় লিখেছেন, “যেহেতু এই ভাইরাসের কোনো ওষুধ বা প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি, তাই ভাইরাসটিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে রোধ করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”

অতি সংক্রামক এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকার দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চারটি বাদে বাংলাদেশে আসা সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশফেরতদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাদের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে সজাগ আছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

“জনস্বার্থে আমরা মুজিববর্ষের কার্যক্রম সীমিত করেছি। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। সকল সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নিতেও আমরা প্রস্তুত আছি।”

 

জয় বলেন, “আমাদের চিকিৎসা সেবা কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে আমরা তৎপর আছি। ভাইরাসটি পরীক্ষা করার সক্ষমতাও আমরা বাড়াচ্ছি। আইইডিসিআর ব্যাতিত আরও তিনটি হাসপাতলে বর্তমানে চিকিৎসার সুবিধা আছে। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালেও এই ভাইরাসের উপসর্গসহ রোগীদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জয় বলেন, “যার যার জায়গা থেকেও আমাদের অনেক কিছু করার আছে। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। অসুস্থ বোধ করলে বাসায় থাকতে হবে। নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। নাকে, মুখে ও চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে নিতে হবে। হাত মেলানো ও আলিঙ্গন থেকে বিরত থাকতে হবে। সম্ভব হলে গণপরিবহনে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে ভূমিকা রাখার সবচেয়ে কার্যকর দুটি উপায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সামাজিকভাবে দূরত্ব বজায় চলা।”

তিনি বলেন, “বাঙালী জাতি সহনশীল ও সাহসী। অনেক বড় দুর্যোগও সফলভাবে মোকাবেলার করার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সব নির্দেশনা মেনে চললে, এই সংকটও আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পারব।

“এই মুহূর্তে গুজব থেকেও আমাদের সাবধান থাকতে হবে। সকল তথ্য আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে প্রতিদিনই সরকারের পক্ষ থেকে ব্রিফিং এর আয়োজন করা হচ্ছে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকার আপনাদের পাশেই আছে। আতংকিত হবেন না, সতর্ক থাকুন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জয় আমাদের হবেই।”