অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নিজেদের প্রচেষ্টায় এই ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন তারা।
ভিডিও ফুটেজটি কাজল নিখোঁজ হওয়ার দিনের দাবি করে তিনি বলেন, ফুটেজে ওই দিন বিকেল ৫টা ৫৯ মিনিটে একজন, ৬টা ৪ মিনিটে একজন এবং ৬টা ৫ মিনিটে একজনকে দেখা গেছে। তিনজনই পৃথক ব্যক্তি। তারা মোটরসাইকেলটির আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল এবং মোটরসাইকেল নিয়ে কিছু করছিল। তাদের প্রত্যেকের আচরণ সন্দেহজনক।
এই তিনজনকে শনাক্ত করা গেলে কাজল নিখোঁজ রহস্য বের হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সাদ হাম্মাদি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকবাজার থানার ওসি মওদুত আহমেদ শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভিডিও ফুটেজ এখনও তাদের হাতে আসেনি। এই ফুটেজ সংগ্রহ করে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
দৈনিক সমকাল ও বণিক বার্তায় ফটো সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা কাজল 'পক্ষকাল’ নামের একটি পাক্ষিক পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্বে রয়েছেন। গত ১০ মার্চ থেকে তিনি নিখোঁজ।
তার নিখোঁজ হওয়ার আগের দিন মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন, তাতে ফেইসবুক ব্যবহারকারী আসামিদের তালিকায় প্রথমেই কাজলের নামও রয়েছে।
শিখরের দায়ের করা মামলায় মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী এবং সাংবাদিক আল আমিনের বিরুদ্ধে একই আইনে অভিযোগ আনা হয়।
যুব মহিলা লীগের নরসিংদীর শাখার বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার ওয়েস্টিন হোটেল কেন্দ্রিক মানবজমিনে সংবাদ প্রকাশ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মন্তব্য হওয়ায় শিখর এ মামলা দায়ের করেন।
কাজল নিখোঁজ হওয়ার পরপরই তার স্ত্রী চকবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। অনেক ঘোরাঘুরির পর আট দিনের মাথায় চকবাজার থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করে।
মামলার তদন্তের অগ্রগতি তেমন কিছু হয়নি জানিয়ে ওসি মওদুত বলেছেন, “আমরা চেষ্টা করছি কাজলের অবস্থান খুঁজে বের করতে।”