করোনাভাইরাসকে 'সংক্রামক রোগ' ঘোষণার গেজেট জারির নির্দেশ

আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় বিশ্বব্যাপী মহামারীতে পরিণত হওয়া নভেল করোনোভাইরাসকে 'সংক্রামক রোগ' হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2020, 12:37 PM
Updated : 23 March 2020, 03:08 PM

এক রিট আবেদনের ওপর শুনানি করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাই কোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

আদালত সরকারকে বলেছে, সম্ভব হলে বুধবার রাতের মধ্যেই এ গেজেট জারি করতে হবে।

ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব এই রিট আবদেনটি করেন। আদালতে তার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য।

পরে পল্লব সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৮ সালের সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে করোনাভাইরাসকে ‘সংক্রামক রোগ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি।

“এ রোগ নিয়ে গত তিন মাস ধরে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখালিখি হওয়ার পরও সরকার এখনও তা আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে গেজেট প্রকাশ করেনি।

“এ কারণে সরকারকে সম্ভব হলে আজ রাতের মধ্যে করোনাভাইরাসকে সংক্রামক রোগ হিসেবে চিহ্নিত করে গেজেট প্রকাশের পাশাপাশি এই রোগ প্রতিরোধে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে কোর্টকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।”

এখন যারা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসছেন, সংশ্লিষ্ট বন্দর থেকেই তাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে কোয়ারেন্টিনে রাখার আদেশ চাওয়া হয়েছে পল্লবের রিট আবেদনে।

এছাড়া উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতের অবকাশকালীন ছুটিও এগিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়েছেন তিনি।

গত ১৩ মার্চ থেকে উচ্চ আদালত অবকাশকালীন ছুটি শুরু হয়েছে যা ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে। পল্লব চাইছেন, মে, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বরে আদালতের যে ছুটি রয়েছে তা এখনই কার্যকর করা হোক। এ বিষয়ে হাই কোর্টের রুলও চেয়েছেন তিনি। 

হাই কোর্ট এসব বিষয় বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য রেখেছে বলে জানিয়েছেন পল্লব।

তার রিট আবেদনে আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।